এক তাবীজে মুসকিল আসান
বলেছে- দয়াল বাবা,
ভবিষ্যত যে অন্ধকার তার
দুষ্ট লোকের থাবা।
পাড়া প্রতিবেশী শুধায় এসে
কেমন করে হলো?
ক'দিন আগেও তো তার
সব কিছুই তো ছিলো।
কোন সে থাবায় হারালো সব
কার ভুলে আজ এই দশা,
তুই বুঝি আর বাচঁবেনা রে
দয়াল বাবাই শেষ ভরসা!
জোড় দাবী উঠলো এবার
দয়াল বাবার কাছে যাও,
বাবার দেওয়া তাবীজ নিয়ে
জীবন খানা বদলে নাও।
বাবার দরবারে সুগন্ধীর ঘ্রান
ভক্তরা সব করছে জিকির,
গভীর ধ্যানে মগ্ন বাবা
মনে মনে করছে ফিকির।
নর নারীতে দরবার ভরা
লাজ শরমের মাথা খেয়ে,
ক্ষেমটা নাচে ঘোমটা খোলে
পড়ছে গিয়ে বাবার পায়ে।
ধবধবে তার সাদা পোশাক
দুই হাত লম্বা বাবার দাঁড়ী,
বোকা জনতা বাবার ধোকায়
ছাড়ছে বিবি ছাড়ছে নারী।
ষ্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি করে
সব মুসকিলের গ্যারান্টি দেয়,
লোভ লালসা নাই বাবার
নাম মাত্র হাদিয়া নেয়।
তাবীজের মুল্য কাজ বুঝে
লাখ টাকাও ছাড়াতে পারে,
এক টাকাও খায়না বাবায়
সব ঢেলে দেয় দরবারে।
বিশ্বাস যেন নড়বড় না হয়
তাবীজ যেন না খোলে,
শর্ত লেখা চুক্তি পত্রে
সব সময় যেন গলায় ঝুলে।
বাবার দেয়া শর্ত অনেক
ভঙ্গ হলেই জীবন নাশ,
টাকাও শেষ বাবাও শেষ
অবশিষ্ট রবে শুধুই বাঁশ।