বাবা মায়ের কোলে এক ফুটফুটে শিশু জন্ম নিলো, পরিবারে খুশির ঢল নামলো।শিশুকে ঘিরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন। সকলে তাকে কোলে নেওয়াই ব্যাস্ত।শিশুটির ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথা সবাই মন দিয়ে শোনে, বাবা মা তার হাতে অ আ A B C এর বই ধরিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন পর তাকে স্কুলে দেওয়া হয়, এভাবে সে স্কুল কলেজ ভার্সিটি শেষ করে সে কর্মব্যাস্ত হয়ে যায়। শিশুটি আর এখন শিশু নেই সে এখন যুবক হয়েছে, বাবা মায়ের মনে তার বিয়ের বিষয় আসে এবং সেও রাজি হয়। এক সময় সে তার বাবা মায়ের সংসারের অংশ ছিলো, এখন তার নিজের'ই একটা সংসার। তার ঘরেও একটা সন্তান এলো সেও অনেক খুশি, দিন যতো যাচ্ছে সে এখন ততো ব্যাস্ত হচ্ছে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এদিকে তার শরীরে ভাটা পড়েছে চশমা ছাড়া সে এখন ভালো দেখতে পারে না, প্রায় যেতে হয় ডাক্তারের কাছে। এক পর্যায়ে সে বিছানাতে পড়ে যায়, সে এখন পরনির্ভরশীল হয়ে গেছে। তার জীবনে সেই শুরুর মতো কারো উপর নির্ভর করে চলতে হয়। পার্থক্য শুধু এই - শিশুকালে সবাই তাকে দেখে এগিয়ে আসতো এখন সবাই কেনো জানি পাশকাটাতে চায়। এমন একদিন আসলো তার শরীর নিস্তেজ হয়ে পরে থাকলো। হাত পা আর নড়ে না। প্রাণ বায়ু তার শরীর ছেড়ে চলে গিয়েছে। পরিবারে একটা শোক নেমে আসলো। পরিবারের সবাই তাকে সমাধিস্থ করা কাজ শেষ করলো, ৩/৪ দিনে তার জন্য পরিবারের সবাইকে ডাকা হলো সাথে কিছু গরীবকেও তার রুহের মুক্তির উদ্দেশ্যে। তারপর সবাই আগের মতোই চলতে লাগলো যে যেমন চলতো।
এভাবেই পৃথিবী থেকে তার নাম স্মৃতি মুছতে থাকলো। ধীরেধীরে সম্পুর্ন ভাবে মুছে যাবে, তার নাম নেওয়ার কেউ থাকবেনা! এভাবেই চলবে অনন্তকাল।