পাকস্থলীতে লুকিয়ে থাকা দুষ্ট বায়ু যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় পায়ুপথ হতে নির্গত হয়, তাকে পাদ বলে। পাদ হচ্ছে, মানবজাতির জন্য অতিব জরুরী একটি পন্থা...
পাদ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকে সভ্যতা ও মানবজাতির জন্য উপহারস্বরুপ। প্রাণীজগতের প্রায় প্রতিটা জীবই পাদ দেয়। পাদ দেয় মাছ, কাঁকড়া, অক্টোপাস, নীল তিমি সহ প্রায় সবধরণের সামুদ্রিক জীব বা জলদ প্রাণী। পৃথিবীতে সভ্যতার ইতিহাসে এমন কোনো পুরুষ কিংবা মহিলা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় নি যে, পাদ দেয় না। এমনকি স্বয়ং পৃথিবীটাই সৌরজগতে তার নিজের অবস্থানে থেকে প্রতিনিয়তপাদ দিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড, হিলিয়াম সহ অন্যান্য বিষাক্ত উপাদানগুলো বের হয়ে যেতে পারছে। পরিচ্ছন্ন অক্সিজেনে সজীব হচ্ছে পৃথিবী। পাদ সবাই-ই দেয়...যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম, থেকে শুরু করে, রাণী এলিজাবেথ, বিখ্যাত নায়িকা এমা ওয়াটসন, কিংবা সালমা হায়েক, নায়ক ব্রাড পিট থেকে এঞ্জেলিনা জোলি,---- সবাই- ই পাদ দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে পাদ সাধারণ সাত প্রকার। যথাঃ
১. ঠাস পাদ
২. ফুস পাদ
৩. কুইয়া পাদ
৪. ঝোল পাদ
৫. গুড়ুম পাদ
৬. ককটেল পাদ
৭. বাশুরিয়া পাদ
#১ ঠাস পাদঃ যে পাদ মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করে, সেটাই হচ্ছে ঠাস পাদ। এসব পাদগুলো সাধারণত হরেক রকমের মন মাতানো সুরের সাথে নিজেদের আগমন ঘটায়। শব্দ দূষণের অভিযোগ পাওয়া গেলেও এই পাদ বেশিরভাগ সময়ই মানুষকে বিনোদিত করে।
#২ ফুস পাদঃ যে পাদ নিজেকে মুক্ত করার জন্য পায়ু পথের কাছাকাছি এসে আকুপাকু করে শব্দ ছারা বের হয়ে যায় তাকে ফুস পাদ বলে। এসব পাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। ঘ্রাণ শুকে এদের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়।এধরনের পাদগুলো সাধারণত পরিবেশ দুষণ করে থাকে।
#৩ কুইয়া পাদঃ এটার অপর নাম চুরাপাদ। এটা লম্বা সময় ধরে পায়খানা আটকে রাখার পরের পাদ। হিরোশিমার বোমার চাইতে ভয়ংকর এই পাদ। মানুষের ভীড়ে এটা দিয়ে ধরা খেলে খুনের মামলার আসামী হয়ে
যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
#৪ ঝোল পাদঃ ঝোল পাদ আসলে পাদ এবং জলীয় পদার্থের মিশ্রনে তৈরী। পেটের অবস্থা যদি বেশি খারাপ হয় তাহলে এই পাদের উৎপত্তি হয়। ডায়রিয়ার সময় এই পাদ হয়। চলাফিরার মূহুর্তে দেয়া একটু ঝুকিপূর্ণ। যেকোনো সময়ে হলুদ ঝোলে প্যান্ট মাখামাখি হয়ে যেতে পারে। এর শব্দ সাধারণত 'ফেড়ফেড়' বা 'ভ্যাড়ভ্যাড়'।
#৫ গুড়ুম পাদঃ যে পাদ বন্দুকের গুলির মতো আওয়াজ করিয়া বাহির হয় তাহাকে গুড়ুম পাদ বলে। মোটা লোকেরা ইহা ঘটাইয়া থাকে।
#৬ ককটেল পাদঃ আওয়াজ শুনিয়া মনে হইবে আজ হরতাল কিন্তু পাশের বাড়ির বুড়ো চাচা এইমাত্র তাহা রিলিজ করিলেন।
#৭ বাশুরিয়া পাদঃ মুলা খাওয়ার পর ইহা আরাম করিবার সময়ে বাশির সুরে সময় লইয়া নির্গত হইতে থাকে। কেহ কেহ ইহাকে রাগ পাদেন্দ্র বলিয়া ভুল করে। এসব পাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। ঘ্রাণ শুকে এদের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়। এধরনের পাদ গুলো সাধারণত পরিবেশ দুষণ করে থাকে।
পাদ নিয়ে লাজুকতা...
প্রিয়জন কি আপনার সামনে পাদ দিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে? যদি তিনি এমনটা করে থাকেন, তাহলে আপনি তাকে বলুন পাদ কোনো লজ্জা বা ছলছাতুরির বিষয় নয়। বরং বেঁচে থাকার লড়াইয়ে তিনি আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলেন…
পাদেরও রয়েছে একটি খারাপ দিক...
অনেকে আছেন যারা রাস্তাঘাটে হাবিজাবি খেয়ে পাদ দেন। এরা নাশকতা ছড়াতে ব্যাপক পটু। কারো সাথে মনোমালিন্য হলেই তার সামনে গিয়ে এরা চুপিসারে পাদ দিয়ে আসেন। এটি আসলে একটি ক্রাইম…
পরিশেষে এটাই বলতে চাই, পাদকে অবহেলা নয়। মানব জীবনে পাদের গুরুত্ব অপরিসীম। পাদ দিতে না পারলে মানুষের পেটে মিথেন গ্যাস জমে যেতো, আর তখন মানুষ মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহাশুন্যে উড়ে যেতো।
পাদ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকে সভ্যতা ও মানবজাতির জন্য উপহারস্বরুপ। প্রাণীজগতের প্রায় প্রতিটা জীবই পাদ দেয়। পাদ দেয় মাছ, কাঁকড়া, অক্টোপাস, নীল তিমি সহ প্রায় সবধরণের সামুদ্রিক জীব বা জলদ প্রাণী। পৃথিবীতে সভ্যতার ইতিহাসে এমন কোনো পুরুষ কিংবা মহিলা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় নি যে, পাদ দেয় না। এমনকি স্বয়ং পৃথিবীটাই সৌরজগতে তার নিজের অবস্থানে থেকে প্রতিনিয়তপাদ দিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড, হিলিয়াম সহ অন্যান্য বিষাক্ত উপাদানগুলো বের হয়ে যেতে পারছে। পরিচ্ছন্ন অক্সিজেনে সজীব হচ্ছে পৃথিবী। পাদ সবাই-ই দেয়...যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম, থেকে শুরু করে, রাণী এলিজাবেথ, বিখ্যাত নায়িকা এমা ওয়াটসন, কিংবা সালমা হায়েক, নায়ক ব্রাড পিট থেকে এঞ্জেলিনা জোলি,---- সবাই- ই পাদ দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে পাদ সাধারণ সাত প্রকার। যথাঃ
১. ঠাস পাদ
২. ফুস পাদ
৩. কুইয়া পাদ
৪. ঝোল পাদ
৫. গুড়ুম পাদ
৬. ককটেল পাদ
৭. বাশুরিয়া পাদ
#১ ঠাস পাদঃ যে পাদ মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করে, সেটাই হচ্ছে ঠাস পাদ। এসব পাদগুলো সাধারণত হরেক রকমের মন মাতানো সুরের সাথে নিজেদের আগমন ঘটায়। শব্দ দূষণের অভিযোগ পাওয়া গেলেও এই পাদ বেশিরভাগ সময়ই মানুষকে বিনোদিত করে।
#২ ফুস পাদঃ যে পাদ নিজেকে মুক্ত করার জন্য পায়ু পথের কাছাকাছি এসে আকুপাকু করে শব্দ ছারা বের হয়ে যায় তাকে ফুস পাদ বলে। এসব পাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। ঘ্রাণ শুকে এদের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়।এধরনের পাদগুলো সাধারণত পরিবেশ দুষণ করে থাকে।
#৩ কুইয়া পাদঃ এটার অপর নাম চুরাপাদ। এটা লম্বা সময় ধরে পায়খানা আটকে রাখার পরের পাদ। হিরোশিমার বোমার চাইতে ভয়ংকর এই পাদ। মানুষের ভীড়ে এটা দিয়ে ধরা খেলে খুনের মামলার আসামী হয়ে
যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
#৪ ঝোল পাদঃ ঝোল পাদ আসলে পাদ এবং জলীয় পদার্থের মিশ্রনে তৈরী। পেটের অবস্থা যদি বেশি খারাপ হয় তাহলে এই পাদের উৎপত্তি হয়। ডায়রিয়ার সময় এই পাদ হয়। চলাফিরার মূহুর্তে দেয়া একটু ঝুকিপূর্ণ। যেকোনো সময়ে হলুদ ঝোলে প্যান্ট মাখামাখি হয়ে যেতে পারে। এর শব্দ সাধারণত 'ফেড়ফেড়' বা 'ভ্যাড়ভ্যাড়'।
#৫ গুড়ুম পাদঃ যে পাদ বন্দুকের গুলির মতো আওয়াজ করিয়া বাহির হয় তাহাকে গুড়ুম পাদ বলে। মোটা লোকেরা ইহা ঘটাইয়া থাকে।
#৬ ককটেল পাদঃ আওয়াজ শুনিয়া মনে হইবে আজ হরতাল কিন্তু পাশের বাড়ির বুড়ো চাচা এইমাত্র তাহা রিলিজ করিলেন।
#৭ বাশুরিয়া পাদঃ মুলা খাওয়ার পর ইহা আরাম করিবার সময়ে বাশির সুরে সময় লইয়া নির্গত হইতে থাকে। কেহ কেহ ইহাকে রাগ পাদেন্দ্র বলিয়া ভুল করে। এসব পাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। ঘ্রাণ শুকে এদের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়। এধরনের পাদ গুলো সাধারণত পরিবেশ দুষণ করে থাকে।
পাদ নিয়ে লাজুকতা...
প্রিয়জন কি আপনার সামনে পাদ দিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে? যদি তিনি এমনটা করে থাকেন, তাহলে আপনি তাকে বলুন পাদ কোনো লজ্জা বা ছলছাতুরির বিষয় নয়। বরং বেঁচে থাকার লড়াইয়ে তিনি আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলেন…
পাদেরও রয়েছে একটি খারাপ দিক...
অনেকে আছেন যারা রাস্তাঘাটে হাবিজাবি খেয়ে পাদ দেন। এরা নাশকতা ছড়াতে ব্যাপক পটু। কারো সাথে মনোমালিন্য হলেই তার সামনে গিয়ে এরা চুপিসারে পাদ দিয়ে আসেন। এটি আসলে একটি ক্রাইম…
পরিশেষে এটাই বলতে চাই, পাদকে অবহেলা নয়। মানব জীবনে পাদের গুরুত্ব অপরিসীম। পাদ দিতে না পারলে মানুষের পেটে মিথেন গ্যাস জমে যেতো, আর তখন মানুষ মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহাশুন্যে উড়ে যেতো।
Tags
জীবনধারা