সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের পাশে মাজদার সিটি এলাকায় বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনে কাজের ফাঁকে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ নিজের অজান্তে ঘুমিয়ে পড়েছেন। দুইপাশে রাস্তার ওপর দিয়ে একটার পর একটা গাড়ী হর্ন বাজিয়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু প্রচন্ড এই শব্দও ঘুমে একটুও ব্যাঘাত ঘটাতে পারছে না এই ঘুমন্ত মানুষটির। আমিরাতের অন্যতম জনপ্রিয় শহর আবুধাবী। বৈশ্বিক এবং বাণিজ্যিক শহর হিসেবে ইতোমধ্যে এর সুনাম ছড়িয়েছে পৃথিবী জুড়ে। কিন্তু এই শহরের বাস্তব আসল অনেকেই জানে না। বলা হয় আবুধাবীতে নাকি কোন দারিদ্র্যতা নেই। এই শহরের আলো ঝলকানো রুপ সজ্জা এই কথাকে বিশ্বাস করানোর ক্ষেত্রে অনেক বড় একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করলেও এখানকার শ্রমিকদের বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।
অনেক আশা স্বপ্ন নিয়ে আসেন নিজ নিজ দেশ থেকে কিন্তু শ্রমিকেরা পরিশ্রমের বিনিময়ে পারিশ্রমিক কি ঠিক মতো পান? আবুধাবীতে এখন অধিকাংশ কোম্পানি গুলো সময় মতো বেতন দেয় না। ৪ থেকে ৫ মাসের বেতন বকেয়া থাকে অধিকাংশ কোম্পানিতে। একজন বাংলাদেশি শ্রমিক আমিরাতের ১০০০দিরহাম বেতনে এর থেকে তিনি প্রতিমাসে পরিবারের জন্য ৬০০দেরহাম পাঠান আর নিজে বাকি ৪০০ দেরহাম দিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করেন। ব্যয়বহুল এই শহরে ছোট্ট একটি রোমে গদাগদি করে থাকেন ৬-৮জন।
আমাদের দেশ থেকে অনেক বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে আসে, যাতে দেশে রেখে আশা পরিবার পরিজন অন্তত সুখে থাকতে পারে। শ্রমিকেরা প্রতিদিন ১২/১৪ ঘন্টা কাজ করে মাস শেষে যখন বেতন না পায় তখন একজন শ্রমিকের কাছে কতটুকু অসহায় মনে হয় সেটা একজন শ্রমিকই সবচেয়ে ভাল জানেন।
আমাদের দেশ থেকে অনেক বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে আসে, যাতে দেশে রেখে আশা পরিবার পরিজন অন্তত সুখে থাকতে পারে। শ্রমিকেরা প্রতিদিন ১২/১৪ ঘন্টা কাজ করে মাস শেষে যখন বেতন না পায় তখন একজন শ্রমিকের কাছে কতটুকু অসহায় মনে হয় সেটা একজন শ্রমিকই সবচেয়ে ভাল জানেন।
Tags
life