দুবাই (আধুনিক আরব) দেশের জুতা জোড়ায় আরবীতে প্রস্তুত কারক কোম্পানির নাম- “আল-রাবিহ” লিখা।
আমরা যারা মুসলমান তারা কোরআনকে আমাদের জীবন থেকে বেশী মহব্বত করে থাকি। তাই জুতা জোড়ায় আরবীতে প্রস্তুত কারক কোম্পানির নাম- “আরবি” লেখা থাকার কারণে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে এরকম জুতা পরিধান করা যাবে কি?
ভাষা মনুষ্যপরিচয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য। মাতৃভাষা পৃথিবীর সব মানুষের কাছেই প্রিয়। পশু-পাখি ও প্রাণিকুল থেকে মানুষের স্বাতন্ত্র্যের অন্যতম একটি উপাদান হলো ভাষা। পৃথিবীর সকল জীব একেকটা ভাষাভাষী হবে এটা মহান আল্লাহর একটি নিদর্শন। সকল ভাষা'ই আল্লাহ প্রদত্ত। আরবি ভাষায় কোন লেখা পরে থাকলে থাকে যেমন সন্মান জানানো উচিৎ, তেমনিভাবে বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি সকল ভাষাকে সন্মান জানানো সকল মানুষের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য। ভাষাকে সন্মান দেখিয়ে জুতায় তার স্বীয় ভাষায় লেখা উচিৎ নয়। এরপরও যেহেতু জুতা প্রস্তুত কারক কোম্পানি গুলো তাদের স্বীয় ভাষায় লিখে থাকে। ভাষার দিকে লক্ষ্য করে জুতা ব্যবহার উচিত।
জুতায় আরবীতে লেখা থাকলেই সেটি কুরআনের আয়াত বা হাদীস, কিংবা আল্লাহ বা রাসূল (সাঃ) এর নাম হয়ে যায় না। আমাদের দেশে যেমন আসবাবপত্রে কোম্পানীর নাম লেখা থাকে, তেমনি যেসব দেশের ভাষা আরবী তারা আরবীতেই স্বীয় কোম্পানীর নাম লিখে থাকে। যেহেতু জুতা প্রস্তুত কারক কোম্পানি গুলো পণ্য সনাক্ত করণ ও বিজ্ঞাপন দিয়ে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। তাই কুরআনের আয়াত বা হাদীস, কিংবা আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এর নাম সম্বলিত জুতা না হলে তা পরিধান করতে কোন সমস্যা নেই।