লোক দেখানো গরু কিনে
কুরবানী তাকে বলে,
কুরবানী কি আর হয় রে মশাই
উল্টো নীতিতে চলে।
ঈদের দিনে চাঙ্গা মনে
গরু দিয়ে কোরবান,
বিয়াই বাড়ি পাঠিয়ে দেন
আস্ত একটা রান।
পাড়া প্রতিবেশিরা বাদই গেলো
জামাই বাড়ি দিয়ে,
বড় একখান ফ্রিজ ভরেন
বাকী মাংস নিয়ে।
কয়েক মাস সেই মাংসতে
চলে মজার খানা,
নিজের কোরবান নিজে খেলে
কে করে ভাই মানা?
গরীব দুখী পায়না কিছুই
নিজেই খেয়ে খুশি,
বিয়াই, জামাই তুষ্ট হয়ে
করেন তোষাতুষি।
এই ভাবেতে কোরবানীতে
কি যে মজা পান?
তাদের কাছে এটাই নাকি
মান রক্ষার কোরবান।
হায়রে বিধিবাম,
হারিয়েছি কুরবানীর মূল শিক্ষা,
তোষাতুষির রোষানলে
এ নিচ্ছি কোন দীক্ষা?
তিন বন্টনে হয়না এখন
দু এক বন্টনেই কুরবান,
নিজেই খেয়ে বাঁচুক আগে
করবো কেনো দান?
লক্ষ টাকার গরু কিনে
দান করলেই কি হয়?
নিজের পেট ভরুক আগে
গরীব মিসকিন নয়।
এমন করেই চলছে এখন
কুরবান কুরবান খেলা,
মনের কুরবান আর দেখিনা
শুধু মাংস খাওয়ার মেলা।