এই ফলটি খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, কার্বোহাইড্রেট, ইলেকট্রোলাইট, ফাইবার, উপকারি ফ্যাট এবং প্রোটিনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। বেশ কিছু গবেষণা দেখা গেছে এই ফলটি খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, কার্বোহাইড্রেট, ইলেকট্রোলাইট, ফাইবার, উপকারি ফ্যাট এবং প্রোটিনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। ফলে শরীরের কর্মক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে একাধিক জটিল রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন...
১. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কাঁঠালে উপস্থিত ফাইবার এবং প্রাকৃতিক সুগার, রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
২. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কাঁঠালে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট এবং ফ্লবোনয়েড রক্তে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরকে ভিতর থেকে এতটা শক্তিশালী কোরে তোলে যে ক্যান্সার কোষ জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ডি এন এ-কে সুরক্ষা প্রদানের মধ্যে দিয়েও ক্যান্সারে রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. ওজন হ্রাসে সাহায্য করে:
প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকার কারণে একবাটি কাঁঠাল খেলে এত মাত্রায় পেট ভরে যায় যে বহুক্ষণ ক্ষিদে পায় না। ফলে খাবার খাওয়ার মাত্রা কমতে থাকে। আর এমনটা হলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ ঘটে কমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, শরীরে জমে তাকা অতিরিক্তি চর্বি ঝরে যেতেও সময় লাগে না।
৪. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে:
স্ট্রেস এবং পরিবেশ দূষণের কারণে কি ত্বকের সৌন্দর্য হারিয়ে যেতে বসেছে? সেই সঙ্গে এমনভাবে বলিরেখা প্রকাশ পয়েছে যে ত্বকের বয়সও গেছে বেড়ে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই কাজে লাগাতে শুরু করুন কাঁঠালকে। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। এক্ষেত্রে কাঁঠালের বীজকে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখার পর সেটি গুঁড়ো করে মুখে লাগালে বলিরেখা তো কমবেই, সেই সঙ্গে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্যও ফিরে আসবে। প্রসঙ্গত, টানা ৬ সপ্তাহ যদি এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে ত্বকের সৌন্দর্য নিয়ে যে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
৫. রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে:
দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চান তো? তাহলে কাঁঠাল খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই ফলটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুটি উপাদান ইমিউন পাওয়ারকে এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না। সেই সঙ্গে কমে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও।
৬. কনস্টিপেশনের প্রকোপ কমে:
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত কাঁঠালের বীজ খাওয়া শুরু করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমতে একেবারে সময়ই লাগে না। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদনটির অন্দরে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে কনস্টিপেশনের মতো রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:
গরমটা যা বেড়েছে তাতে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পরাটা বেজায় স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু জানেন কি কাঁটাল খাওয়া শুরু করলে ক্লান্তিবোধ দূর হতে সময় লাগে না। কারণ এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন বি এবং প্রোটিন, দেহের অন্দরে এনার্জির ঘাটতি দূর করে। ফলে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ে চোখে পরার মতো।
৮. প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়:
শরীরকে সচল রাখতে জলের পরেই যে উপাদানটির প্রয়োজন পরে, সেটি হল প্রোটিন। তাই তো প্রায়শই কাঁঠাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কারণ এই ফলটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা দেহের অন্দরে এই উপাদানটির ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি শরীরের গঠনেও সাহায্য করে থাকে।