গ্রামের মাঠে ধান ক্ষেতে আগাছা দূর করছেন একজন কৃষক। বেলা শেষ হতে চলল, তার আগের চেয়ে কাজের গতি আরও বেড়ে গেল। এমন সময় দেখতে পেলেন ক্ষেতের পাশ দিয়ে এক ভিক্ষুক হেঁটে যাচ্ছে গাঁয়ের দিকে।
কি ও ফকির, এই সন্ধ্যায়ও তুমি ভিক্ষা কর নাকি?
নাহ, এখন আর কই যামু?
আইচ্ছা, তুমি যে ভিক্ষা কর তোমার ভাত রান্ধে দেয় কে?
চাইল দিলে মাগির অভাব আছে নাকি রান্ধনের লাইগ্যা, ভিক্ষুক জবাব দিয়ে দ্রুত গাঁয়ের দিকে হাঁটা ধরে। কৃষক তখন বলে - মহিলাদের হাতের ভাত রান্না খাও, আবার মহিলাদের মাগি বলে গালি দেও! তুমি কেমন মানুষ?
সন্ধ্যা পেরিয়ে কৃষক বাড়ির দিকে হাঁটা ধরলেন। ভিক্ষুক কৃষকের বাড়িতে ভাত রান্না করতে দিয়েছে, হঠাৎ দেখতে পেল ওই মাঠের কৃষক এই বাড়ির দিকেই আসছে। সে তাড়াতাড়ি বাড়ির ভিতরে গিয়ে বাড়ির গিন্নিকে বলল- যা হইছে হইছে, আমার ভাতটুকু দিয়া দেন, যাইগা।
ওমা, আপনের ভাতে তো এখনও ফেন (মাড়) রইয়া গেছে, ফেনটা আরেকটু টানুক তারপর দেই।
না, আমার অহনই যাইতে অইব, যাই হইছে দিয়া দেন বলে গামছা মেলে দেয় ফকির।
উপায়ান্তর না দেখে বাড়ির গিন্নি ফেনসহ ভাত গামছায় ঢেলে দেয়, ফকির গামছা প্যাচ দিয়ে কাঁধে ঝুলিয়ে দ্রুত হাঁটা ধরল।
বাড়ির সামনেই কৃষকের মুখোমুখি ফকির...
কি ও ফকির, এত তাড়া কইরা কই যাও? এই সময়ে চোখে পড়ে ফকিরের কাঁধে ঝুলনা আর তা থেকে টপ টপ করে কি যেন পড়ছে!
তোমার কাঁন্ধে ওইটা কি? আর কি পড়তাছে?
ফকির বলল- আর বইলেন না ভাই, স্বভাব দোষে মুখ লড়ে, গামছা বাইয়া ফেন পড়ে।