সারা বিশ্ব ইবলিশ শয়তানের শিষ্যে পরিপূর্ণ। এখন আর ইবলিশের তেমন কোনো কাজ নেই। এখন আর তার মানুষের পেছনে পেছনে ঘুরে মানুষকে বিপথগামী করতে হয় না। কারণ, এখন সবাই বিপথগামী। কেউ সত্য আর ন্যায়ের পথে প্রতিষ্ঠিত নয়। তাই ইবলিশ এখন অবসরপ্রাপ্ত। এখন সুধু খায় আর ঘুমায়। এভাবে বহুবছর পার হয়ে যাচ্ছে। শয়তানের শিষ্যরা তাদের পাপ দ্বারা পৃথিবীকে কানায় কানায় পূর্ণ করে রাখছে।
একদিন ইবলিশের মনে হলো- তার শিষ্যরা কেমন আছে? তারা কি আবার ভালো হয়ে যাচ্ছে কিনা? সেটা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। সেজন্য ইবলিশ একজন সন্ন্যাসী রূপ ধারণ করে এক লোকালয়ে গেলো। দূর হতে লোকালয়ের ভেতরের হৈহুল্লো, গানবাজনা, চিৎকার শুনে গর্বে ইবলিশের বুক ভরে গেলো, যে তার শিষ্যরা পরকাল ভুলে গেছে। তারপর ধীরে ধীরে সে লোকালয়ের দিকে যেতে লাগলো। এমন সময় দেখতে পেলো পথের পাশের একটি ঘরে তার শিষ্যরা অশ্লীল কাজে লিপ্ত। শয়তান তখন আরও খুশি হলো। সে লোকালয়ে প্রবেশ করে দেখে নারী-পুরুষ সবাই উলঙ্গ হয়ে পীরের দরবারে নৃত্য করছে। তারা রোজ একটার পর একটা অনুষ্ঠান করে। আজ তাদের অনুষ্ঠানের বিষয় হচ্ছে, তাদের একজন তার প্রতিবেশীকে ফাঁদে ফেলে তার কাছ থেকে টাকা আদায় করে ফুর্তিতে ব্যয় করবে! সে এও বলেছে যে- সে তাদের খান্নাছের এক বিশাল মূর্তি তৈরী করবে। শুনে শয়তান আরও বেশী খুশি হলো। এরমাঝে একজন ইবলিশের দিকে এগিয়ে এলো। তাদের স্টাইলের সাথে ইবলিশ শয়তান পুরোই ব্যমানান। তাই শয়তানকে গুপ্তচর মনে করে তাদের নতুন সরদারের কাছে নিয়ে গেলো। সরদার এক বিভৎস হাঁসি দিয়ে শয়তানের চুল টেনে ধরলো। গুপ্তচর হিসেবে শয়তানকে গণধোলাই দিতে লাগলো। তখন শয়তান চিৎকার করে পরিচয় দিচ্ছে - "আমি সেই ইবলিশ"। এই কথা শুনে আরো বেশী বিদ্রুপ আচরণ শুরু করলো। ইবলিশ! হাহাহা! কে ইবলিশ? কোন ইবলিশ? গুপ্তচর শালায় কয় কি? বিদ্রুপ হাঁসি হেসে জুতা পেটা থেকে শুরু করে সকল হিংস্র সাজা দিতে থাকে। এরমাঝে তাদের খান্নছের মূর্তি তৈরী হয়ে গেছে। তখন নেতা সিদ্ধান্ত করলো- এই ইবলিশ নামি গুপ্তচরকে এই মূর্তির সামনে উলঙ্গ করে নাচিয়ে তাদের মূর্তি উদ্ভোধন করা হবে। যেই কথা, সেই কাজ। শয়তানকে ধরে জোড় যবরধস্তি করে তার শিষ্যরাই উলঙ্গ করে তারই মূর্তির সামনে নাচালো। শয়তান কাচুমাচু হয়ে নাচতে বাধ্য হলো আর মনে মনে ভাবতে লাগলো, তার শিষ্যদের কথা। কেনো তাদের খারাপ কাজ করানোর উদ্যোগ নিয়ে ছিলো। ভবিষ্যতে এমন হবে আগে কেন বুঝলো না। এদিকে সকল খবরের কাগজে ফলাও করে প্রচার হতে লাগলো।
আজ নিজের শিষ্যদের আচরণে ইবলিশ নিজেই দিশেহারা! তারা আজ খান্নাছ ইবলিশ শয়তানকেও চিনে না! তারাতো নিশ্চিত নরকে যাবে!