কাক ও কোকিলের পার্থক্য

কাক ও কোকিল দুটিই পাখি। দুজনই দেখতে একদম কালো এবং দেহের গঠনও প্রায় একই রকম। একই বাসাতে জন্ম নিয়েই বেড়ে ওঠে। কোকিল নিয়ে অনেক গান রচিত আছে। তবে কাকের প্রতি মানুষের এত অনীহা প্রকাশ করে কেন? কাকের বাসাতেই তো কোকিলের জন্ম। কাক নিয়েও রচিত হয়েছে কত গান আর কত কথা। যেমন- ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না, কাক কাকের মাংস খায় না আরও কত কি? তাহলে নিশ্চয়ই কাক ও কোকিলের মাঝে বড় ধরনের পার্থক্য আছে? দেখতে প্রায় অভিন্ন হওয়ায় ছোটবেলায় কাক-কোকিল চেনা একটু কঠিন হলেও বড় হলে সবাই চিনে। যারা কাক ও কোকিল আলাদা করে যারা চিনতে পারে না, তাদের মত নির্বোধ সমাজে আর কেহ নাই। তবে যারা সাদাকে সাদা, আর কালোকে কালো বলে। সহস্র স্যালুট জানাই সেই সকল সত্যবাদীদের।

কাক ও কোকিল


সেই সাথে কাক-কোকিলের বিভেদটাও জানা দরকার। এরা দুজনই গান গায় তবে একজন গায়কের মর্যাদা পায়। মন মাতানো কুহু-কুহু সুর সকলের কাছে খুব ভালো লাগলেও কাকের কা-কা ডাক কিন্তু বিরক্তিকর। কাক বিভিন্ন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে ঘুরে উচ্ছিষ্ট ভক্ষণ করলেও কোকিল সেটা করে না। কোকিল নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখতেই বেশি ভালোবাসে। কাকের বাসায় শুধু কাক জন্মায় না। সেখান থেকেই কোকিলও জন্মায়। কাকের বাসায় গিয়ে কাকের ডিম খেয়ে সেখানে ডিম দিতে পারলেই তবে কোকিলের বংশ বিস্তার হয়। কাকের বাসায় জন্ম নিয়ে কাকের মাংস খেতে না পারলেও ডিম খাওয়ার বিষয়টি একদম স্পষ্ট। সবচেয়ে বড় কথা হলো- কোকিল প্রকৃতির রূপের সাথে নিজেকে বদলায়।

কাক ও কোকিলের ডিম



Admin

Amir hossain is a social article writer. he likes to share knowledge and Interested research content of biodiversity, climate, travel, photography

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form