কোকিল আমাদের একটি পরিচিত পাখি। এদের গায়ের বরণ কালোর ওপরে উজ্জ্বল নীল রঙের পোচ দেওয়া। বাঁকানো ঠোটের সবুজ রং। তাদের চোখটাও রক্তে লাল, লম্বা লেজ। কোকিল ডাকে উঁচু ও সুরেলা কণ্ঠে। এদেরকে গ্রামবাংলায় নির্দিষ্ট একটি সময়ে বেশী দেখা যায়। তাও আবার বসন্তকালে। কাউয়ার গায়ের বরণ ঘন কালো। এদের ওষ্ঠ্য খুব শক্ত। কাউয়া সারাদিন কা-কা করে ডাকে। তাদের মধ্যে কেউ বিপদে পড়লে দলে দলে ছুটে আসে সে স্থানে। এবং সমস্বরে কা-কা করে। এত জোরে প্রতিবাদ করে যেন তাদের কিছু দাবি আছে। আর তা মানতে হবে। কাউয়া খুবই চালাক। গ্রামে যারা বাগান করে তারা কাউয়ার অতিষ্ঠ থেকে বাঁচার লক্ষ্যে কাকতাড়ুয়া নামে একটি দারুণ জিনিস বানিয়ে খেত খামারের মাঝে টাঙিয়ে রাখে। শহর অঞ্চলে কাক কারেন্টের তাঁরে কিংবা দেয়ালের উপর বসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়। নিচে কেউ আছে না-নাই সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপই নাই। সব মিলিয়ে কাউয়া কোকিলের চেয়ে বহুগুণ চালাক। তবে একটা যায়গায় কাউয়া কিন্তু কোকিলের সাথে বারবার হেরে যায় আর তা হল- কোকিল কাকের বাসায় গিয়ে ডিম পারে আর কাক তা না চিনেই কোকিলের ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফুটিয়ে দেয়।
Tags
প্রকৃতি