সৃষ্টির রহস্য

সৃষ্টির রহস্য creation

খোঁড়াকে তুমি করেছ খোঁড়া যথার্থ কারণে,

অন্ধকেও তুমি অন্ধত্ব দিয়েছ যথার্থ জ্ঞানে।

মূককে করেছ বোবা, কালাকে করেছ বধির,

যথার্থই করেছ ধনী, গরীব, বাদশা, ফকির।

শিক্ষিত, মূর্খ, শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গের ভেদাভেদ,

চাক্ষুষ জ্ঞানেই তুমি করেছ এমন প্রভেদ।

অনেকেই হয়তো বুঝে না এ সবের রহস্য,

তাই, বহু মানুষ মানছে না তোমাকে উপাস্য।

অথচ তুমি সর্বজ্ঞ, সর্বদ্রষ্টা, সর্বশক্তিমান স্রষ্টা,

তব সৃষ্টির রহস্য বুঝবে কি এ সব ভ্রষ্ট ভ্রষ্টা?

ধন, জন, জ্ঞান দিয়ে তুমি কাউকে করেছ ধন্য,

কাউকে সামান্য কিছু দিয়েও করেছ অন্যান্য।

কাউকে এ সব দিয়ে তাকে করেছ পরীক্ষা,

দেওয়া, না দেওয়ার মধ্যেও আছে বহু দীক্ষা।

তেমনই দীক্ষা পড়েছি নবি মূসার কাহিনীতে,

খোঁড়া বালকের কুকীর্তি দেখায়েছো নদীতে।

মূর্খ ফেরাউনকে অগাধ ক্ষমতা করে ছিলে দান,

অগ্নি পরীক্ষায় মিশরবাসীর হলো উত্থান পতন।

কৃপণ কারুনকে দিয়ে ছিলে বিপুল সম্পদ,

কৃপণতার কারণে তাকে দিলে ভীষণ বিপদ।

এভাবেই বাদশাকে করেছ ফকির সময়ের ব্যবধানে,

ফকিরকে করেছ বাদশা যুগে যুগে, দিনে দিনে।

তোমার সৃষ্টির রহস্য বুঝা বড়ই কঠিন,

তুমি স্রষ্টা সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকৌশলী, সর্বশক্তিমান।

Admin

Amir hossain is a social article writer. he likes to share knowledge and Interested research content of biodiversity, climate, travel, photography

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form