বাঁশ একটি উদ্ভিদ

বাঁশ একটি উদ্ভিদ bamboo

বাঁশ একটি উদ্ভিদ, এটি গ্রামে গঞ্জে শহরে মফস্বলে ব্যাপকহারে জন্মে থাকে। বাঁশ মূলত দুইপ্রকার, দৃশ্যমান বাঁশ ও অদৃশ্য বাঁশ। দৃশ্যমান বাঁশ লম্বায় চূড়ায় বিশাল হলেও চওড়ায় ঠন ঠন। আর অদৃশ্যমান বাঁশ দেখা যায় না। কেবল বাঁশ গ্রহণের সময় অনুভব করা যায়। বর্তমানে দৃশ্যমান বাঁশের চেয়ে অদৃশ্যমান বাঁশের ব্যবহারই বেশী। বাঁশ কেবলি গ্রহণযোগ্য নহে, প্রদান যোগ্যও বটে। একজন ইচ্ছামত অনেককে বাঁশ দিতে বা অনেকের বাঁশ নিতে পারে। এতে কোনো ধরা বাঁধা নিয়ম নেই। তবে প্রদানের চেয়ে গ্রহণের ঝুলিই অধিক ভারী হয়ে থাকে বলে জানা যায়। বাঁশের শেষ নেই, বাঁশ কেবল এক রূপ ছেড়ে অন্যরূপ ধারণ করে মাত্র।

বাঁশ নিঃসন্দেহে একটি অপকারী জিনিস। মানুষের ক্ষতির কারণ এই বাঁশ। তারপরেও এর কিছু না কিছু উপকার আছে। দেশের সমৃদ্ধিতে বাঁশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক বাঁশ অর্জন করে। এর সিংহভাগের যোগান দেয় পার্শ্ববর্তী বন্ধুরাষ্ট্র ভারত। বাঁশ যদিও যন্ত্রনা ব্যাথাদায়ক অপদার্থ তবুও দেশ ও জাতীর বৃহত্তর উন্নয়নে এর অবদান অনস্বীকার্য।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form