গ্রাম শব্দটি শুনলেই যেন মনের ভেতর আনন্দ শুরু হয়ে যায়। আনন্দের ঢেউ খেলে যায় পুরো শরীর জুড়ে। বিশেষ করে যারা পরিবারের প্রথম প্রজন্ম হিসেবে গ্রাম ছেড়ে জীবন জীবিকা বা অন্যকোন কারণে ইট পাথর আর যান্ত্রিকতার নগরে বাস করেন, তাদের কাছে এই আনন্দ যেন আরও বেশি। এই উপমা দিতে হলেও অন্তত ফিরে যেতে হয় গ্রামীণ পরিবেশে। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ, আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, উঁচু গাছের ডাল থেকে পুকুর কিংবা বর্ষার স্বচ্ছ পানিতে ঝাঁপ দেওয়া, টিনের চালে ঝুম ঝুম বৃষ্টির শব্দ থেকে শুরু করে প্রকৃতি। আনন্দের জন্য আর কি চাই?
আমাদের গ্রামগুলো একসময় স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। এক সময় গ্রামে গোলা ভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল, পুকুর ভরা মাছ ছিল। এসব ছোটবেলায় বইয়ের পাতায় পড়তাম আর ভাবতাম, বইয়ের পাতায় এসব কেন? বইয়ে থাকবে অজানা কিছু যা আমরা জানি না। এসব তো এখন ও আছে। কিন্তু দুই দশকের এই কম সময়ে নিরবে পরিবর্তিত হচ্ছে গ্রামগুলো। সেখানে নীরবেই চলছে যেন এক বিপ্লব। পড়াশোনা শেষ হলেই যেন গ্রামের সাথে আমাদের যোগাযোগ আর সম্পর্কটা কমতে থাকে। সবাই ছুটে শহরের দিকে সবাই ভাবে শহর নিয়ে। সকল পরিকল্পনা আর বাজেট যেন শহর কেন্দ্রিক। গ্রামে কোন পরিকল্পনা নেই। গ্রাম নিয়ে কেউ পরিকল্পনা করে না। গত কয়েক বৎসরে উন্নয়ন আর যোগাযোগ ব্যবস্থার কল্যাণে পাল্টে গেছে আমাদের গ্রামগুলো। অনেক গ্রামে এখন গড়ে উঠছে অপরিকল্পিত নগরায়ন। প্রতিটি গ্রামেই এখন অসংখ্য প্রবাসীর বসবাস। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অনেক গ্রামেই এখন পাল্টে গেছে গ্রামীণ অর্থনীতি। সরকারও ধীরে ধীরে শিল্পায়নের বিকেন্দ্রীকরণ করছে। ফলে গ্রামে এখন অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে। আর এতে করে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে আগের ছন, মাটি বা টিনের ঘর। নতুন করে সেখানে স্থান নিচ্ছে পাকা দালান বাড়ি। সংকুচিত হচ্ছে কৃষি জমি, পরিবর্তিত হচ্ছে গ্রামীণ বাস্তুসংস্থান, পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। আসলে উন্নয়ন তো আমরা সবাই চাই। রাস্তা ঘাট, বেকারত্ব দূরীকরণ, বিদ্যুৎ, জীবন যাত্রার মান, কর্মসংস্থান। সেইসাথে চাই গ্রামীণ পরিবেশ। শহরের মতো অপরিকল্পিত নগরায়ন যেন না ঢুকে পড়ে কোন গ্রামে। যেন হারিয়ে না যায় কোন গ্রাম।
আমাদের গ্রামগুলো একসময় স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। এক সময় গ্রামে গোলা ভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল, পুকুর ভরা মাছ ছিল। এসব ছোটবেলায় বইয়ের পাতায় পড়তাম আর ভাবতাম, বইয়ের পাতায় এসব কেন? বইয়ে থাকবে অজানা কিছু যা আমরা জানি না। এসব তো এখন ও আছে। কিন্তু দুই দশকের এই কম সময়ে নিরবে পরিবর্তিত হচ্ছে গ্রামগুলো। সেখানে নীরবেই চলছে যেন এক বিপ্লব। পড়াশোনা শেষ হলেই যেন গ্রামের সাথে আমাদের যোগাযোগ আর সম্পর্কটা কমতে থাকে। সবাই ছুটে শহরের দিকে সবাই ভাবে শহর নিয়ে। সকল পরিকল্পনা আর বাজেট যেন শহর কেন্দ্রিক। গ্রামে কোন পরিকল্পনা নেই। গ্রাম নিয়ে কেউ পরিকল্পনা করে না। গত কয়েক বৎসরে উন্নয়ন আর যোগাযোগ ব্যবস্থার কল্যাণে পাল্টে গেছে আমাদের গ্রামগুলো। অনেক গ্রামে এখন গড়ে উঠছে অপরিকল্পিত নগরায়ন। প্রতিটি গ্রামেই এখন অসংখ্য প্রবাসীর বসবাস। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অনেক গ্রামেই এখন পাল্টে গেছে গ্রামীণ অর্থনীতি। সরকারও ধীরে ধীরে শিল্পায়নের বিকেন্দ্রীকরণ করছে। ফলে গ্রামে এখন অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে। আর এতে করে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে আগের ছন, মাটি বা টিনের ঘর। নতুন করে সেখানে স্থান নিচ্ছে পাকা দালান বাড়ি। সংকুচিত হচ্ছে কৃষি জমি, পরিবর্তিত হচ্ছে গ্রামীণ বাস্তুসংস্থান, পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। আসলে উন্নয়ন তো আমরা সবাই চাই। রাস্তা ঘাট, বেকারত্ব দূরীকরণ, বিদ্যুৎ, জীবন যাত্রার মান, কর্মসংস্থান। সেইসাথে চাই গ্রামীণ পরিবেশ। শহরের মতো অপরিকল্পিত নগরায়ন যেন না ঢুকে পড়ে কোন গ্রামে। যেন হারিয়ে না যায় কোন গ্রাম।
Tags
পরিবেশ