বাল্যকাল হইতে একটু বোদাই প্রকৃতির বলিয়া তাহার পিতামাতা নাম রাখিলেন বোদাই। বোদাই শুধু নামেই নয় কাজেও যর্থাথ বোদাই ছিল। তাহার কাজ ছিল প্রতিবেলা সালুন দিয়া এক গামলা ভাত গেলা আর প্রতিবেশির আগানে-বাগানে গিয়ে শব্দ দূষনের সাথে বায়ূ ও পরিবেশ দূষনের মাধ্যমে তাহা ত্যাগ করা। এই দুই কর্ম ব্যাতিত তাহার হস্তপদ আর কোন কর্ম সম্পাদন করিবার জন্য প্রস্তুত ছিলনা। এই নিয়ে তাহার পিতা-মাতার আফসোসের অন্ত ছিলনা। এই নিয়ে প্রতিবেশীগন নিত্ত আসিয়া বোদাইয়ের বাপ-মাকে কহিয়া যাইত। কিন্তু বোদাই শুধরাইবার নহে।
একদিন প্রভাতে বোদাই যথারীতি লোড করিয়া প্রাত ক্রিয়াদি সম্পন্ন করিবার জন্য পাড়ার মোড়লের বাগানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইল। সে যখন বিকট শব্দ করিয়া পাছার কাপড় উল্টাইয়া বসিল। তাহার ওই বিকট শব্দে বাগানের মালি আসিয়া তাহার কান ধরিয়া তুলিয়া লইয়া আসিল বোদাইয়ের বাপ-মায়ের কাছে। বোদায়ের বাপ সব শুনিয়া কহিল- বাছাধন, হাগিতে বসিয়াছো তাহা পাছার কাপড় উল্টাইলা কেন? তুমি জানোনা ভদ্রলোক পাছার কাপড় উল্টাইয়া হাগেনা। এরপর থেকে হাগিতে বসিলে পাছা ডাকিয়া বসিবা। মালি কহিল- দেখো এরপর তোমাগো বোদাই যদি হাগিতে গিয়া ধরা খায় তাহলে তার পায়ুপথ চিরদিনের জন্য সিল করিয়া দেওয়া হইবে। বোদাই উহাতে বিন্দুমাত্র কর্নপাত না করিয়া যথারীতি পরদিন প্রভাতে হাগু করিবার উদ্দেশ্যে মোড়লের বাগানে গিয়া বসিল। পাড়ার দুষ্টু পুলাপাইন এইবার ধরিয়া উহার পায়ুপথে একখানা বাশঁ ভরিয়া দিল। বোদাই পাছা উছকাইয়া হাটিতে হাটিতে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইল। পথিমধ্যে ছাগুরামের সাথে তাহার দেখা। ছাগুরাম কাঠাল পাতা চাবাইতে চাবাইতে বোদাইকে দেখিয়া কহিল- কিহে বোদাই, পাছায় বাশঁ দিয়াছে কারা? বোদাই কহিল বড়ই যন্ত্রনা হচ্ছে, হাগিতে গিয়া পাড়ার দুষ্টু পুলাপাইনের হাতে ধরা খাইয়াছি। একটুকু উপকার করো হাত মারিয়া ইহাকে বাহির করেন। ছাগুরাম নির্বিকার চিত্তে কাঠাল পাতা চাবাইতে চাবাইতে কহিল- এক কাজ কর তুমি বরং নদীতে চলিয়া যাও। বোদাই কহিল- কেন, কেন? ছাগুরাম একটা কাঠাল পাতা কোত করিয়া গিলিয়া কহিল- শুনেছি দেশের নেতারা হাত মারায় বহুত এক্সপার্ট। হাত মারিয়া উহারা সেতু বানায়া ফেলে আর ইহাতো সামান্য বাশঁ।