ছোট বেলায় স্কুলে গরুর রচনা শিখেছিলাম, তাই গরু চিনতে ভুল হয় না। গরুর প্রতি অতিরিক্ত পক্ষপাতিত্বের কারনে ছাগল বিষয়ক কোন রচনা পড়ানো হয় না। তাই মনের মধ্যে ছাগল বিষয়ে জানার আগ্রহ ছিল দীর্ঘকাল।
ছাগল গৃহপালিত প্রাণী। অনেকে পশুও বলে থাকেন। তবে এই প্রাণীটিকে সকলে পছন্দ করে না। তাতে অবশ্য ছাগলের কিছু যায় আসে না। ছাগল তার স্বীয় কাজে ব্যস্ত থাকে। সমাজ মানুষ আর সভ্যতা নিয়ে ভাবার তার সময় নেই, চেতনাও নেই। ছাগলের কাছ থেকে অন্যান্য প্রাণী একটু দূরে থাকে। এর মূল কারণ- খুব সম্ভবত তার গায়ের বিশ্রী গন্ধ। ছাগলের প্রস্রাবের গন্ধও মারাত্মক। ছাগল কোনো গাছের পাতা বা গাছের মাথার অংশ খেলে সেই গাছ আর হয় না। এ ক্ষেত্রে গরু ব্যাতিক্রম।
বাংলাদেশে এই ছাগলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদের আগে উৎপাত কম ছিলো। কালো ছাগলের পরিবর্তে সাদা ছাগলের সংখ্যা অসংখ্য ভাবে বেড়েই চলেছে। এদের যন্ত্রণায় দেশ-বিদেশের মানুষেরা অস্থির। ছাগল ভাল মন্দ বুঝতে চায় না। ব্যা-ব্যা-ব্যা করে এর বাইরে তার কোনো ভাষা জ্ঞান নেই। তারপরও সমাজের, রাষ্ট্রের সর্বত্র ছাগলের সংখ্যা বেশী। সোশাল মিডিয়া, লেখালেখি জগতে এদের আধিক্য। আসুন সবাই মিলে এই ছাগলদের প্রতিহত করি।