একজন পিতা কখনো কন্যা দায়গ্রস্ত নয় বরং পিতা কন্যা দানশীল হয়। প্রতিটি মেয়েকেই শুনতে হয়, তার বাবা বিয়েতে কি কি দিয়েছে! কেউ বোঝেনা, মেয়েটিই তো তার সারা জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ছিল। বুকে পাথর চেপে সেই সম্পদই তুলে দেয় পরের হাতে। তবু সমাজ কেনো তাকে কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা বলে?
অনেক যুগ আগে থেকেই মানুষ নারীর সৌন্দর্যের বর্ণনা নানাভাবে রচনা করেছেন গান, গল্প ও কবিতা। কিন্তু বাস্তবে নারীকে কতটা মূল্যায়ন করা হয়েছে? একজন মেয়ে যখন জানতে পারেন- তার গর্ভের সন্তান মেয়ে, তখন থেকেই তার চিন্তা শুরু হয়। যতটা না মেয়ে বলে চিন্তা হয়, এর চেয়ে বেশি চিন্তা কন্যা সন্তানের দেহ রক্ষা ও নিশ্চিত জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে। কন্যা সন্তান যখন শৈশব থেকে কৈশোরে পা দিয়ে রঙিন স্বপ্নেরডানা মেলে দিকদিগন্তে উড়তে চায় তখনই বিপত্তি শুরু। সমাজের বাকাঁ কথা তার জন্য প্রস্তুত থাকে। মেয়েটি যদি চঞ্চল হয় তবে এর মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ। সামাজিক শৃঙ্খল নামে শিকল বেধেঁ দেয়ার প্রয়াস শুরু হয় সামান্য বয়সেই। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে সামলে রাখো, ঠিক মতো দেখে শুনে রাখো! এসব কথা শুনেই কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা রাখে মেয়েটি। নানা গুঞ্জনে মুখরিত হতে থাকে চারপাশ। মেয়েটি কারো সাথে ঘুরছে কিনা। কতগুলো ছেলে বন্ধু আছে? প্রেম করে কিনা এমন অনেক প্রশ্নের নজর প্রতিনিয়ত তীরবদ্ধ করে মেয়েটিকে। পরিবার থেকেও সমাজের চিন্তা বেশি। বিয়ের ক্ষেত্রে ও ভাবনা এমন হয় যে,“যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া পড়শির ঘুম নেই।” তিল তিল করে মেয়েটি নানা বাধাঁ পেড়িয়ে পড়া শেষ করে যখন চাকরিতে ঢুকে তখন শুরু হয় কানাঘুষা। “মেয়ের ইনকাম খাওয়ার জন্য মেয়ের বিয়ে দেয়া হচ্ছে না”। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পড়াকালীন অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায়, সেই সাথে বিয়ে হয়ে যায় তাদের স্বপ্নেরও। তাদের আর জানা হয় না জীবন কি, স্বপ্ন কি? আর যারা বাধা পেরিয়ে এত দূর আসে, তাদের শুনতে হয়- বিয়ের বয়স চলে যাচ্ছে, মনে হয় কোনো সমস্যা আছে। এর পর আঙ্গুল উঠে তার চরিত্রে। আমরা নারী মুক্তি মানে বিয়ে মনে করি। কন্যা দায়গ্রস্ত মনে করি। কন্যা দায়গ্রস্ত হবে কেন? কন্যাও মানুষ। পুরুষদের মত মেয়েদের আছে স্বপ্ন, ইচ্ছা, মেধা বাচাঁর ইচ্ছা। একটি ছেলে যেখান থেকে আসে, মেয়েও তো সেখান থেকেই আসে। নাকি পুরুষ মায়ের গর্ভ থেকে আর মেয়ে পশুর গর্ভ থেকে?
অনেক যুগ আগে থেকেই মানুষ নারীর সৌন্দর্যের বর্ণনা নানাভাবে রচনা করেছেন গান, গল্প ও কবিতা। কিন্তু বাস্তবে নারীকে কতটা মূল্যায়ন করা হয়েছে? একজন মেয়ে যখন জানতে পারেন- তার গর্ভের সন্তান মেয়ে, তখন থেকেই তার চিন্তা শুরু হয়। যতটা না মেয়ে বলে চিন্তা হয়, এর চেয়ে বেশি চিন্তা কন্যা সন্তানের দেহ রক্ষা ও নিশ্চিত জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে। কন্যা সন্তান যখন শৈশব থেকে কৈশোরে পা দিয়ে রঙিন স্বপ্নেরডানা মেলে দিকদিগন্তে উড়তে চায় তখনই বিপত্তি শুরু। সমাজের বাকাঁ কথা তার জন্য প্রস্তুত থাকে। মেয়েটি যদি চঞ্চল হয় তবে এর মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ। সামাজিক শৃঙ্খল নামে শিকল বেধেঁ দেয়ার প্রয়াস শুরু হয় সামান্য বয়সেই। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে সামলে রাখো, ঠিক মতো দেখে শুনে রাখো! এসব কথা শুনেই কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা রাখে মেয়েটি। নানা গুঞ্জনে মুখরিত হতে থাকে চারপাশ। মেয়েটি কারো সাথে ঘুরছে কিনা। কতগুলো ছেলে বন্ধু আছে? প্রেম করে কিনা এমন অনেক প্রশ্নের নজর প্রতিনিয়ত তীরবদ্ধ করে মেয়েটিকে। পরিবার থেকেও সমাজের চিন্তা বেশি। বিয়ের ক্ষেত্রে ও ভাবনা এমন হয় যে,“যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া পড়শির ঘুম নেই।” তিল তিল করে মেয়েটি নানা বাধাঁ পেড়িয়ে পড়া শেষ করে যখন চাকরিতে ঢুকে তখন শুরু হয় কানাঘুষা। “মেয়ের ইনকাম খাওয়ার জন্য মেয়ের বিয়ে দেয়া হচ্ছে না”। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পড়াকালীন অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায়, সেই সাথে বিয়ে হয়ে যায় তাদের স্বপ্নেরও। তাদের আর জানা হয় না জীবন কি, স্বপ্ন কি? আর যারা বাধা পেরিয়ে এত দূর আসে, তাদের শুনতে হয়- বিয়ের বয়স চলে যাচ্ছে, মনে হয় কোনো সমস্যা আছে। এর পর আঙ্গুল উঠে তার চরিত্রে। আমরা নারী মুক্তি মানে বিয়ে মনে করি। কন্যা দায়গ্রস্ত মনে করি। কন্যা দায়গ্রস্ত হবে কেন? কন্যাও মানুষ। পুরুষদের মত মেয়েদের আছে স্বপ্ন, ইচ্ছা, মেধা বাচাঁর ইচ্ছা। একটি ছেলে যেখান থেকে আসে, মেয়েও তো সেখান থেকেই আসে। নাকি পুরুষ মায়ের গর্ভ থেকে আর মেয়ে পশুর গর্ভ থেকে?