মরুভূমিতে নিজেকে রক্ষা

এই পৃথিবী পৃষ্ঠে হতে প্রাণী দেখিতে পাওয়া যায়। একেক প্রাণীর রয়েছে একেক বৈশিষ্ট্য। মরুভূমির প্রাণীদের কথা বলতে গেলে প্রাণীটির কথা প্রথম বলতে হয় সেটি হচ্ছে উট। গরম কাপড় তৈরিতে উটের পশম, জীবন ধারণের জন্য উটের দুধ, মাংস এবং পরিবহনের কাজে আরবের মরুভূমির বাসিন্দাদের কাছে উট এক অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। মরুর কঠিন পরিবেশেও উট নিজেকে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারে। চর্বিযুক্ত কুঁজ উটের প্রধান স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য। মরুভূমিতে এক কুঁজ বিশিষ্ট এবং দুই কুঁজ বিশিষ্ট উট দেখতে পাওয়া যায়। এক কুঁজ বিশিষ্ট উট মরুভূমিতে দেখা যায়। এদের কুঁজে ৩৬ কেজি পর্যন্ত চর্বি সংরক্ষিত থাকে। এ ধরনের উটকে ড্রমিডারি উট বলা হয়। মধ্য ও পূর্ব এশিয়ার মরুভূমিগুলোতে দুই কুঁজ বিশিষ্ট উট দেখতে পাওয়া যায়। এদেরকে বেকট্রিয়ান উট বলা হয়। মরুভূমিতে খাবার যখন কম থাকে উটেরা তাদের কুঁজে সঞ্চিত চর্বিকে পানি ও শক্তিতে রূপান্তরিত করে। এভাবে খাদ্য ছাড়া উট দীর্ঘকাল বেঁচে থাকতে পারে। শরীর থেকে পানি বাষ্পীভূত হয়ে বের হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করার জন্য তাদের দেহ বিশেষভাবে অভিযোজিত।
মরুভূমিতে বালুর ঝড়ে উট নিজেকে রক্ষা করে | আমির হোসেন
মরুভূমির ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমেও তাদের শরীর থেকে ঘাম নির্গত হয় না। তারা তাদের প্রশস্ত নাক দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে বাইরের বাতাস গ্রহণ করে এবং ভেতরের গরম তাপমাত্রা বের করে দেয়ার মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এভাবে তারা শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়া রোধ করতে সক্ষম হয়। এই অভিযোজন ক্ষমতার জন্য উট এক সপ্তাহ পানি না পান করেও চলতে পারে। তারা মাত্র ১৫ মিনিটের কম সময়ে ৪৬ লিটার পর্যন্ত পানি পান করতে পারে। তাদের শরীরের ঘন লোম গরমের দিনে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং তীব্র শীতে শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। তাদের লম্বা, শক্তিশালী পায়ের কারণে মরুভূমির বালিতেও তারা সহজে হেঁটে যেতে পারে।

Admin

Amir hossain is a social article writer. he likes to share knowledge and Interested research content of biodiversity, climate, travel, photography

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form