সৃষ্টিকর্তার কাছে মানুষের কোন জাত বিভাজন নেই। যা আছে শুধু কতিপয় এই মানুষের কাছে। পৃথিবীতে একটাই জাতি, পৃথিবীতে মানুষের কোন জাত নেই।মানুষের কোন বিভাজন নেই। আমাদের বাহিরের রূপ যার যেটাই হোক না কেন দেহের ভিতরে সবার রক্তই লাল। সেখানে কোন জাতের ভিন্নতা নেই। একজন ভিখারির কোনো জাত হয় না, একজন পাগলের কোনো জাত হয় না। ড্রেনের পাশে পরে থাকা রক্তাক্ত শিশুটির কোনো জাত হয় না। দত্তক নেওয়া শিশুটির কোনো জাত হয় না। এক সময় ছিল যখন মুসলমানের ছোঁয়া লাগলে হিন্দুর জাত যেতো। তারপর গঙ্গা স্নান করে জাতে ফিরতে হতো। আবার হিন্দুর মুখ দেখলে মুসলমানের অজু নষ্ট হয়ে যেতো। একজন পাগল কিন্তু একজন ভিখারির পাশে বসতে পারে, এক থালায় খাবার খেতে পারে। একটি ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া শিশু কিন্তু একটি ভিখারির কোলে স্থান পায়। কারন তাদের কোনো জাত নেই। ছেলের প্রতি অন্যায়-অবিচার করলে যেমন মা খুশি হন না ঠিক তেমনি মানুষকে ঘৃণা করে স্রষ্টার উপাসনা করলে স্রষ্টাও খুশি হন না। মানুষের কল্যান সাধনের মধ্য দিয়েই স্রষ্টার সান্নিধ্য অর্জন করা যায়। মানুষের কোন জাত নেই।মানুষের কোন জাত হয়না, মানুষ তো মানুষই। এই বোধ যাদের মধ্যে জাগ্রত হয়েছে, তারাই কেবল মানুষ। মানুষকে ভালবাসার মাধ্যমেই স্রষ্টার সাক্ষাত মিলে। এ কথাকে যারা প্রাণে যারা বিশ্বাস করেছিলেন, তারাই মানুষের কল্যানে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।
Tags
পরিবেশ