সৃষ্টি জগতের মধ্যে উট এক ব্যতিক্রমধর্মী প্রাণী। এটি অন্য প্রাণী থেকে আলাদা বিশেষত্বের দাবিদার। কারণ এটি মরুভূমির উত্তপ্ত চরম প্রতিকূল আবহাওয়ায় অনায়াসে টিকে থাকতে পারে। উটের পেটে এমন একটি থলি থাকে, যাতে উট বিশুদ্ধ পানি জমা রাখতে পারে আর তা দিয়ে দীর্ঘদিন চলতে পারে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন, প্রায় ৪০ মিলিয়ন বছর আগে উট পৃথিবীতে বসবাস শুরু করে। বহু প্রজাতি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেলেও, উট এখনও দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
আরব মরুভুমির আদি বাহন উট। ৫শ’ পাউন্ড বোঝা নিয়ে একটি উট স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে মরুভূমির ভিতর দিয়ে। শুধু তাই নয়, এই উট মরুভুমিতে পানি এবং খাবার ছাড়াও অনেকদিন ধরে চলতে পারে। উট ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। উট আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে, ব্যাকট্রেন ও ড্রমেডারি উট। এদের মধ্যে যাদের পিঠে দুইটি কুঁজ থাকে তাদেরকে বলে ব্যাকট্রেন উট। আর এককুঁজ বিশিষ্ট উটকে বলে ড্রমেডারি। উক্ত কুঁজে জমে থাকে চর্বি জাতীয় পদার্থ। খাবার হজম হওয়ার সময় এক গ্রাম চর্বি গলে এক গ্রাম পানি বের হয়। যখন খাবার ও পানির অভাব দেখা দেয় তখন কুঁজে সঞ্চয় করে রাখা চর্বি থেকে তাদের খাদ্যের অভাব পুরণ হয়। আর এ কারণে একসময় কুঁজ শুকিয়ে যায়। তবে পর্যাপ্ত পানি পান করার পর তাদের কুঁজ আবার বড় হয়। মাত্র ১০/১৫ মিনিট সময়ের মধ্যে এরা ৫০ লিটার পর্যন্ত পানি পান করতে পারে। ঘণ্টায় ২৫ মাইল বেগে উট দৌঁড়ায় তবে ৪০ মাইল পর্যন্ত এরা দৌঁড়াতে সক্ষম। ছোট ছোট ঘাস, লতাপাতা এরা খেয়ে থাকে। তবে এদের খিদে বেশি। চামড়ার জুতো, গাছ বাঁধার দড়ি, গলার রশি, কাগজের কার্টুন, পলিথিনের বস্তা, পাতলা টিনের নরম পাত পর্যন্ত চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। ঠোঁট এত ভোঁতা যে, লম্বা কাঁটা ওয়ালা গাছ থেকে লিকলিকে জিহ্বা দিয়ে অনায়াসে পাতা সংগ্রহ করতে পারে। আবার মুখ এত মজবুত যে, ফণীমনসার ভয়ানক কাঁটা ওয়ালা ক্যাকটাস চিবিয়ে খাওয়া খুবই মামুলী ব্যাপার। পানি ছাড়া বেঁচে থাকার আরেকটি তথ্য রয়েছে। উটের দেহে ডিমের মতো বিশেষ এক ধরনের লাল রক্ত কণিকা থাকে যার সাহায্যে পানি ছাড়াই শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত কণিকা পৌঁছে দেয়। আর এ কারণেই উট পানি ও খাবার ছাড়া একটানা ৬ মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। মাইলের পর মাইল হেটে আসার পর এতো পরিশ্রম হয় অথচ তারপরও উটকে কখনও ক্লান্ত হতে দেখা যায় না। উট আরব দেশের বাহন বলে এই উটের শক্তি এতো বেশি এমনটাই অনেকেই ধারণা করে থাকেন। এতে সৃষ্টি কর্তার রহমত নিহীত।
আরব মরুভুমির আদি বাহন উট। ৫শ’ পাউন্ড বোঝা নিয়ে একটি উট স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে মরুভূমির ভিতর দিয়ে। শুধু তাই নয়, এই উট মরুভুমিতে পানি এবং খাবার ছাড়াও অনেকদিন ধরে চলতে পারে। উট ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। উট আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে, ব্যাকট্রেন ও ড্রমেডারি উট। এদের মধ্যে যাদের পিঠে দুইটি কুঁজ থাকে তাদেরকে বলে ব্যাকট্রেন উট। আর এককুঁজ বিশিষ্ট উটকে বলে ড্রমেডারি। উক্ত কুঁজে জমে থাকে চর্বি জাতীয় পদার্থ। খাবার হজম হওয়ার সময় এক গ্রাম চর্বি গলে এক গ্রাম পানি বের হয়। যখন খাবার ও পানির অভাব দেখা দেয় তখন কুঁজে সঞ্চয় করে রাখা চর্বি থেকে তাদের খাদ্যের অভাব পুরণ হয়। আর এ কারণে একসময় কুঁজ শুকিয়ে যায়। তবে পর্যাপ্ত পানি পান করার পর তাদের কুঁজ আবার বড় হয়। মাত্র ১০/১৫ মিনিট সময়ের মধ্যে এরা ৫০ লিটার পর্যন্ত পানি পান করতে পারে। ঘণ্টায় ২৫ মাইল বেগে উট দৌঁড়ায় তবে ৪০ মাইল পর্যন্ত এরা দৌঁড়াতে সক্ষম। ছোট ছোট ঘাস, লতাপাতা এরা খেয়ে থাকে। তবে এদের খিদে বেশি। চামড়ার জুতো, গাছ বাঁধার দড়ি, গলার রশি, কাগজের কার্টুন, পলিথিনের বস্তা, পাতলা টিনের নরম পাত পর্যন্ত চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। ঠোঁট এত ভোঁতা যে, লম্বা কাঁটা ওয়ালা গাছ থেকে লিকলিকে জিহ্বা দিয়ে অনায়াসে পাতা সংগ্রহ করতে পারে। আবার মুখ এত মজবুত যে, ফণীমনসার ভয়ানক কাঁটা ওয়ালা ক্যাকটাস চিবিয়ে খাওয়া খুবই মামুলী ব্যাপার। পানি ছাড়া বেঁচে থাকার আরেকটি তথ্য রয়েছে। উটের দেহে ডিমের মতো বিশেষ এক ধরনের লাল রক্ত কণিকা থাকে যার সাহায্যে পানি ছাড়াই শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত কণিকা পৌঁছে দেয়। আর এ কারণেই উট পানি ও খাবার ছাড়া একটানা ৬ মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। মাইলের পর মাইল হেটে আসার পর এতো পরিশ্রম হয় অথচ তারপরও উটকে কখনও ক্লান্ত হতে দেখা যায় না। উট আরব দেশের বাহন বলে এই উটের শক্তি এতো বেশি এমনটাই অনেকেই ধারণা করে থাকেন। এতে সৃষ্টি কর্তার রহমত নিহীত।
তারা কী দেখেনা আমি উটকে কীভাবে সৃষ্টি করেছি। -আল কোরআন
ReplyDelete