বিশ্বব্যাপী নানা রঙের মানুষ আছে। তার মধ্যে আমরা সাদা কালোকেই বেশী বুঝি বা বেশী গুরুত্ব দেই। মানুষ যখন জন্ম গ্রহন করে তখন তার গায়ের রং দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না। সে কালো না ফর্সা হবে। তবে কেউ কেউ বলে ফর্সা হবে, কেউ বলে কালো হবে। অন্যজন বলে শ্যামলা হবে কিংবা উজ্জ্বল ফর্সা হবে না তবে উজ্জ্বল শ্যামলা হবেই। দুনিয়ার রঙ নিয়ে নানা কথা নানা রকম তামাশার ইতিকথা প্রচলিত আছে। কেউ বলি- আমরা রঙের দুনিয়ায়, শুধু রঙে ঢঙের কথা বলে যাচ্ছি। সাদা কালো নিয়ে নানা সমস্যা রয়েছে। যেমন কালো কাপড় অনেকেই পরতে চায় না আবার কেউ কালো কাপড় পোরতে চায় কারন এখানে পছন্দের ব্যাপার রয়েছে। আবার মানানেরও ব্যাপার রয়েছে। অনেক সময় কালা কাপড়কে আমরা দুঃখ বেদনা বা শোকের প্রতীক হিসাবে ব্যাবহার করে থাকি। আবার কেউ বলে কালো কাপড় শীতের দিনে ব্যাবহার করলে বা পরলে শীত নাকি কম লাগে। অন্যজন বলে গরমের দিনে কালো কাপড় পড়লে গরম ধরে বেশী। অনেকেই বলে কালোর পছন্দ নাকি আমাদের মধ্যে কম লোকেরই। সাধারণত বাস গৃহের সাদা দেওয়ালের নীচে মেঝের কাটিঙে লাগাই কালো বর্ডার, যাতে সাদা ফুটে ওঠে। কিংবা লাল সাদা কালো সবুজের নানা রঙের টব সাজিয়ে ফুলের বাগান সাঁজাই সারিসারি। অন্যদিকে সাদা কাপড় অনেকেই পরতে চায় না, বিশেষ করে মেয়েরা। কারন হিসাবে জানা যায়, যাদের স্বামী মরে গেছে তাদেরই নাকি পরতে হয়। তাই স্বামী আছে যার তার না পরাই ভালো। এই সাদা শাড়িতে আমরা মেয়েদের বিধবা প্রতীক হিসাবে চিহ্ন করে থাকি। আবার সাদা ছড়িতে কানা লোকের প্রতীক হিসাবে চিহ্ন হয়ে থাকে। আবার রাস্তায় সাদা রঙের বর্ডার দিয়ে সংকেত বহন করায়। আবার সাদা পোশাক গরমের দিনে পরলে নাকি গরম কম লাগে। যে জন্য ট্রাফিক পুলিশদের পোশাক নাকি সাদা হয়। অন্যদিকে কেউ কেউ সাদা শার্ট প্যান্ট সাদা জুতা সাদা মোজা পরে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলে। অনেকে আবার বলে কালা প্যান্ট, সাদা শার্ট, নাকি মানায় ভালো। চুল পেকে সাদা হলে কালো রঙের কালি মেখ কালা করে। চুলের পাক আড়াল করে বয়স কম প্রমান করার চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু এতেও নাকি মানান সই দেখায় না। কারন অনেকদিন চুল সাদা থাকলে হটাৎ করে চুল রঙ দিয়ে কালো করলে নাকি বেমানান লাগে বা চেহারা পাল্টে যায়। তাই অনেক সময় চিনতে পারা যায় না বা সাময়িক ইয়াং মনে হয়। তাই প্রবাদে বলে- "চক চক করলেই সোনা হয় না"। কেউ আবার এই কথাতে লজ্জাও পায় কিংবা নিজেকে আবার যৌবনে ফিরে এসেছে বলেও মনে করে। তাই সমাজ বলে- "উপরে ফিট ফাট, ভিতরে ফাঁকা বা শুন্য সার"। যে যাই বলুক, এই মানানের সাথেও নাকি সাদা কালার ব্যাপার আছে। আবার মেয়েরা যদি পরে সাদা শাড়ী কালো পড়ে, তা নাকি দেখতে আরও সুন্দর লাগে। তাও নাকি পরতে হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে বা বিশেষ দিনের জন্য। এখানে নাকি কালো সাদার কোন সমস্যা নেই।
আমরা অনেকেই কালো মেয়েকে বিয়ে করতে পছন্দ করিনা। সব সময়ই ধবধবে ফর্সা মেয়েকে বিয়ে করতে চাই বা আগ্রহী। তাই কালো মেয়ের বিয়েতে সমস্যা। গ্রামীন প্রবাদে বলে- "খড় দিয়ে যে চুল বাঁধে, সেও ভাতার বা স্বামী পায়"। কিন্তু আমরা আবার খুজে ফিরি লক্ষি বউ। কিন্তু লক্ষি অলক্ষি বউতে সাদা কালো কোন তফাৎ নেই। তাই লোকে বলে- "জাতের মেয়ে কালোও ভালো"। তাই আমরা কখনো কালো চামড়া সাদা করতে কতরকম স্নো ক্রিম ব্যাবহার করি। তাতেও সমাধান না হলে চলে যাচ্ছি বিউটিশিয়ানদের কাছে। কালো চামড়া সাদা ফর্সা করতে। অনেকে আবার বিছানায় সাদা চাদর ব্যাবহার করতে চায় না। আবার কালো টুপিকে জম টুপি বলে। যেমন ফাঁসির মঞ্চের আসামীকে কালো টুপি পরানো হয় ফাঁসির আগে। অন্যদিকে কালো মুখোশ পরে রাতে ডাকাতি করে কেউ কেউ। আবার নিজের চেহারাকে ঢেকে রাখার জন্য মুখোশ হিসাবে কালো মুখোশ পরে। আমরা বেশীর ভাগ মানুষই আলো আবছা অন্ধকার বা আঁধার রাতে হটাৎ করে কালো কোন জীব দেখলে চমকে উঠি। তাই ছদ্ধবেস আমাদের চমক দেয় বা চমকায়। মুখে কালো কাপড় বা ব্লাক টেপ মেরে প্রতিবাদ জানাই আমরা কখনো কখনো। তাই আমার মনে হয় কালো কাপড়ে আমরা হয়তো বেশিই ভয় পাই। কিন্তু মানুষের মৃত্যুর পর সাদা কাপড় দিয়েই বিদায় দিতে হয়। দুনিয়ার অনেক রঙের মাঝেও আমরা সাদা রঙ বেছে নিয়েছি কেন? মনে হয় এর মধ্যে রহস্য রয়েছে। তাই লোকে বলে রং সাদা কালো যাই হউক। যার অন্তর সাদা সেই ভালো মানুষ। আর তাই আমরা শেষ বিদায় জানাচ্ছি সাদা কাপড় দিয়ে। যাতে আমরা সাময়িক মনে করে সান্তনা পাই মানুষটি ভালই ছিল। তাই সাদা রং দিয়েই চির বিদায় জানাই।
আমরা অনেকেই কালো মেয়েকে বিয়ে করতে পছন্দ করিনা। সব সময়ই ধবধবে ফর্সা মেয়েকে বিয়ে করতে চাই বা আগ্রহী। তাই কালো মেয়ের বিয়েতে সমস্যা। গ্রামীন প্রবাদে বলে- "খড় দিয়ে যে চুল বাঁধে, সেও ভাতার বা স্বামী পায়"। কিন্তু আমরা আবার খুজে ফিরি লক্ষি বউ। কিন্তু লক্ষি অলক্ষি বউতে সাদা কালো কোন তফাৎ নেই। তাই লোকে বলে- "জাতের মেয়ে কালোও ভালো"। তাই আমরা কখনো কালো চামড়া সাদা করতে কতরকম স্নো ক্রিম ব্যাবহার করি। তাতেও সমাধান না হলে চলে যাচ্ছি বিউটিশিয়ানদের কাছে। কালো চামড়া সাদা ফর্সা করতে। অনেকে আবার বিছানায় সাদা চাদর ব্যাবহার করতে চায় না। আবার কালো টুপিকে জম টুপি বলে। যেমন ফাঁসির মঞ্চের আসামীকে কালো টুপি পরানো হয় ফাঁসির আগে। অন্যদিকে কালো মুখোশ পরে রাতে ডাকাতি করে কেউ কেউ। আবার নিজের চেহারাকে ঢেকে রাখার জন্য মুখোশ হিসাবে কালো মুখোশ পরে। আমরা বেশীর ভাগ মানুষই আলো আবছা অন্ধকার বা আঁধার রাতে হটাৎ করে কালো কোন জীব দেখলে চমকে উঠি। তাই ছদ্ধবেস আমাদের চমক দেয় বা চমকায়। মুখে কালো কাপড় বা ব্লাক টেপ মেরে প্রতিবাদ জানাই আমরা কখনো কখনো। তাই আমার মনে হয় কালো কাপড়ে আমরা হয়তো বেশিই ভয় পাই। কিন্তু মানুষের মৃত্যুর পর সাদা কাপড় দিয়েই বিদায় দিতে হয়। দুনিয়ার অনেক রঙের মাঝেও আমরা সাদা রঙ বেছে নিয়েছি কেন? মনে হয় এর মধ্যে রহস্য রয়েছে। তাই লোকে বলে রং সাদা কালো যাই হউক। যার অন্তর সাদা সেই ভালো মানুষ। আর তাই আমরা শেষ বিদায় জানাচ্ছি সাদা কাপড় দিয়ে। যাতে আমরা সাময়িক মনে করে সান্তনা পাই মানুষটি ভালই ছিল। তাই সাদা রং দিয়েই চির বিদায় জানাই।