যারা সুদের কারবার করে তাদের চোখ লাল অথবা একটুকু বড় হয়। সাধারণ মানুষের তূলনায় তারা একটু বেশী খাদক হয়। তাদের লজ্জা শরম অনেক কম এবং এরা পল্টিবাজ স্বার্থপর স্বভাবের হয়। মিথ্যা কথায় অনেক পটু। এরা এমন ভাবে মিথ্যা বলে, যা সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারেনা। তারা নিজেদেরকে নিষ্পাপ মনে করে এবং তাদের এই সুদি কারবারকে ১০০% হালাল ব্যবসা মনে করে। অনেক সুদখোররা পাঁচ-ওয়াক্ত নামাজী হতে পারে, আপসোস এদের নামাজ তাদের কোন উপকারেই আসেনা। তাদের আত্মা অনেক দুর্বল হয়, সব কাজেই তাদের ভয় সাধারণ মানুষের তূলনায় অনেক বেশি। তারা যখনি লাভে বা সুদে টাকা পয়সা লেনদেন করে, তাদের গ্রাহককে বরাবর একটা কথাই বলে- এই টাকাটা আমার না, আমার অমুক আত্মীয় স্বজন থেকে নেয়া। তাদের টাকাপয়সা বা সুদের ব্যবসাটা আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত জনদের মাঝেই করতে পছন্দবোধ করে। কারন এতে ঝুটজামেলা অনেক কম। তারা নিজেদের স্বার্থে খুব কাছের মানুষ যারা মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী সন্তানদের সাথেও এমন খারাপ ব্যবহার করতে পারে, যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা। তাদের ছেলে সন্তানগন প্রতিবন্ধী ও মেয়েদের দুই-তিনটি বিয়ে হয়। তাদের লেখাপড়া বা বড় কোন ডিগ্রি থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই এরা মূর্খের মতই আচরণ করে থাকে। তাদের মত আর একজন সুদখোরকে মনে মনে প্রচণ্ড হিংসা ও ঘৃণা করে থাকে। তারা সাধারণত ডাইবেট্রিস, হাইপেশার, হার্ডএটাক এই ধরণের রোগেই বেশী ভোগে, এদের বেশীর ভাগই মৃত্যু হয় হার্ড এটাক বা হার্ড ফেল করে। বয়স কালে তারা অনেক অসহায় হয়ে পরে, তাদের ছেলে মেয়েরা তাদের কোন উপকারেই আসে না।
যতটুকু সম্বভ এই শ্রেণীর লোক থেকে দূরে থাকাটাই মঙ্গল।
যতটুকু সম্বভ এই শ্রেণীর লোক থেকে দূরে থাকাটাই মঙ্গল।
Tags
জীবনধারা