প্রবাসীরা একটা মোমবাতি

প্রবাসীরা একটা মোমবাতি, মোমবাতির ভেতরে থাকে সুতা। সুতায় আগুন দিলে সেই আগুন অন্ধকার দূর করে আলোকিত করে মোম গলে যায়। ঠিক তেমনি একজন প্রবাসী একটি মোমবাতির মতো। নিজে জ্বলে নিঃশেষ হয়ে তার পরিবারকে আলোকিত করে। প্রবাসীদের কষ্ট ও ত্যাগের উপর নির্ভর করে তার পরিবার ও পরিজনদের মুখের হাসি। পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও উন্নত জীবনের আশায় পাড়ি জমাচ্ছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। এই প্রবাসীরা রাত-দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে যায় শুধুমাত্র পরিবারের সুখের আশায়। শত প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও নিজের কষ্টটুকু বুঝতে দেয় না পরিবারকে। দুই ঈদ ও বিভিন্ন উৎসবে বেশিরভাগ প্রবাসী ঈদে নিজের জন্য কিছু কেনে না পুরাতন জামায় ঈদ করে পরিবারের কথা ভাবে কত দ্রুত টাকা পাঠাবে সবাই ঈদের নতুন কাপড় কিনবে। পরিবারের খুশীই হলো প্রবাসীর ঈদের আনন্দ।
প্রবাসী পরিবার  | আমির হোসেন
মাস শেষে যখনই বেতন হাতে পায় সেই বেতনের টাকা কখন দেশে পরিবারে কাছে পাঠাবে সেই চিন্তায় অস্থির থাকে প্রবাসীরা। আবার অনেক সময় দেখা যায় কাজ করেও মাস শেষে ঠিকমতো বেতন পায় না। বেতন দিতে দেরি হলে দেশ থেকে ফোন আসে মাসতো শেষ টাকা কোথায়? পাড়ার দোকানে ও পাওনাদাররা আসছে। আরও শোনায় নানা ধরনের কথা, পরিবারের বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নানাবিধ চিন্তায় বাসা বাঁধে হৃদরোগের মতো নীরব ঘাতকে স্ট্রোক করে মারা গেছে। যাদের আত্মীয়-স্বজন থাকে মৃত প্রবাসীর মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠাতে সম্পন্ন করতে শুরু করে আইনি কার্যক্রম। বিভিন্ন জনের সহযোগিতায় কফিন বন্দি করে দেশে লাশ পাঠায়। কিন্তু কেউ বিদেশে মারা গেলে একটি লাশ কিভাবে দেশে আসে সেই খোঁজ কেউ রাখে না। পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজন গুঞ্জন করে লাশের সঙ্গে কত টাকা আসছে?

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form