বন্ধ্যা নারী-পুরুষ

দেশে বন্ধ্যা নারী পুরুষের সংখ্যা কতো জানিনা। তবে কম নয় মনে হয়। এই বন্ধ্যা নারী পুরুষ কখন কিভাবে নিরূপণ করা যায় বা হয় তা নিয়েই আজকের লেখা। আমি আপনি কিভাবে বুঝবো যে, সে বা তিনি বন্ধ্যা। আবার এই বন্ধ্যাদের ভবিষ্যৎ কি? কি তাদের জীবন প্রণালী বা সামাজিকভাবে তাদের মূল্যায়ন কি? কেউ এসব নিয়ে মাথা ঘামিয়েছে কিনা বা ঘামায় কিনা জানিনা। কিন্তু তারাও তো মানুষ। খেয়াল করে দেখবেন একজন নারী পুরুষ বিয়ে হবার পর এর প্রমান পাওয়া যায় যে সে বা তিনি বন্ধ্যা। তার আগে কিন্তু প্রমান করার কোনও সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। একজন নারী বিয়ের পর যদি সন্তান ধারন করতে না পারে তাহলে কিন্তু তার স্বামীর সংসারে টিকে থাকা অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে। হয় তালাক প্রাপ্ত হতে হয় কিংবা সতীনের সাথে সংসার করতে হয় কিংবা অন্যের সন্তান নিয়ে এসে লালন পালন করতে হয়। আবার এই অন্যের সন্তান আনতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। কিংবা লালন পালন করেও পরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। অথচ একজন পুরুষ যদি বন্ধ্যা হয় তাকে সমাজ কেহ অবহেলা করে না। এমনকি তার এই বন্ধাত্তর কথা সমাজে প্রকাশ কম পায়। এক্ষেত্রে তার স্ত্রী সন্তান ধারন ক্ষমতা থাকা সত্বেও তার সন্তান গ্রহন করার কোনও সুযোগ থাকে না। তবুও তাকে ওই সংসার করে যেতে হয় কখনো কখনো। এসবই সৃষ্টির রহস্য। তাই বন্ধ্যাদের উপেক্ষা করা বা সমাজে তিরস্কার করা অনুচিত। কারন তারাও মানুষ এবং স্রষ্টার সৃষ্টি। আমরা মানুষ দুনিয়ায় নানা ভাবে নানা আকৃতিতে জন্ম গ্রহন করেছি। আবার সুস্থভাবে জন্ম গ্রহন করেও চলমান সুস্থ আনন্দদায়ক জীবন হটাৎ করে নিরানন্দ হয়ে যেতে পারে। যা আমাদের সকল আশা ভরসা আনন্দ নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে এক সেকেন্ডের মধ্যে। সুতারাং ভাগ্যে আমাদের কি আছে বলা মুশকিল। তবুও আমরা বাচতে চাই অনেক কিছুর অনিচ্চিত চাওয়া পাওয়া নিয়ে। তাই বেশী আশা করাও নাকি ঠিক নয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form