শ্বশুরবাড়ী

শ্বশুরবাড়ী বীরপাশা আর আগের মত নাই,
শালা-শালি বিয়ে করেও শান্তি পায় না তাই।
আগের দিনে আমি যখন- শ্বশুর বাড়ি যেতাম,
ঝাল তরকারি পুলি পিঠা কত কি যে খেতাম।
সিরনী, ফিরনী, পায়েস সে তো থালা ভরে দিত,
নাক ডুবিয়ে খাওয়ার পরও ফেরৎ কি আর নিত।
শ্বাশুরীগুলো জামাই আদরে ব্যস্ত হয়ে পড়তো,
আম খাওয়াতে শ্বশুর মশাই নিজেই গাছে চড়তো।
মানা করলেও দুধের বাটি ঢেলে দিত পাতে,
মিস্টি মধুর আমগুলো শ্বাশুরী দিতো হাতে।
বাড়ির বড় মোরগগুলো জামাইর নামে রেখে,
অনেকদিন ভর পাহারা দিত জামাই আসবে দেখে।
হাজার অভাব থাকলেও ঘরে তারপরেও ঐ সব,
জামাই ছাড়া খাওয়া হতো না যতই হোক উৎসব।
জামাইর নামে মুরগীগুলো শিয়াল যদি খেত,
শ্বশুর-শ্বাশুরীর গালির চোটে ওরাও লজ্জা পেত।
বড় বড় মাছ ভাজা আর বিশাল মুরগীর রান,
তাজা মুরগীর মাংস খেতে দিতাম কি যে টান!
মাঝে মাঝে খাসি খেতে শ্বশুর বাড়ি যেতাম,
হাড্ডি ছাড়া মাংসগুলো বাসন ভরে পেতাম।
এত খাওয়ার পরও শ্বাশুরী বলতো ঘরে ডেকে,
কি খেলেন গো জামাই বাবু সবই দিলেন রেখে?
খাওয়ার চোটে নাক তল তল তাতেও আফসোস তার,
এমন কথা শ্বাশুরী ছাড়া কেউ বলে না আর।
নিজেই এখন মরার পথে শ্বশুর-শ্বাশুরীও নাই,
সে সব স্মৃতি পড়লে মনে কান্না আসে তাই।
আছেন যারা তরুণ যুবক শ্বশুর বাড়ি যাবেন,
অনেক খেলেও আমার মত সেই মজা কি পাবেন?
সময় গেছে দিন ফুরাইছে- আগের মানুষ নাই,
ভালো লাগে দুই/এক দিনে বিদায় হলে জামাই!

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form