বাপের বাড়ী- শ্বশুর বাড়ী

খেয়াল করে করে দেখবেন বাপের বাড়ীর সুনাম বা গল্প করতে কেউ খুব একটা কম করে না। কিন্তু ভাইবোন চাচাদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সংঘাত লেগে যায়। তখন কিন্তু একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ বা অপপ্রচার করে থাকে বাপের গুষ্টির লোকজন। তখন কেউ কেউ শ্বশুর বাড়ীর সুনাম গায়। আবার কেউ কেউ শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বাপের বাড়ীর খুব সুনাম গায়। যেমন শ্বশুর বাড়ী গিয়ে খেতে দিলে কেউ কেউ বলে- আমার বাড়ীর রান্না এই রকম, ঐ রকম। আমাদের বাড়ীর রান্নার ধরনই আলাদা। তারপর কতো কিছু খাওয়া হয় তার নেই কোন হিসাব। আমাদের বাড়িতে প্রতিদিন অনেক লোক খায়। আবার কেউ কেউ গল্পে গল্পে বলে আমাদের বাড়িতে হাতী বাঁধা আছে সহ নানা গল্পের গল্প নেই যেন শেষ। কেউ আবার শ্বশুর বাড়ী গেলে নানা অজুহাত করে নানা কথা তুলে। এমনকি কোন কিছু কম বা সময় মতো না হলে, অভিমান করে থাকে নানা ভাবে। রাগ করে কাউকে কিছু না বলে চলে যায় নিজবাড়ী। পুনরায় তাকে আবার নিয়ে আসতে অনেক কাট খড়ী পোড়াতে হয় শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের। আবার শোনা যায় শ্বশুর বাড়ীতে জামাইকে নাকি পা ধোয়ায়ে দিতে হয়, যাতে জামাই খুশী থাকে। কেউ আবার শ্বশুর বাড়ী থেকে নানা কিছু নেওয়ার জন্য বায়না ধরেই থাকে। কোন কোন জামাই বউয়ের গুনে পঞ্চমুখ থাকে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। কোন কোন জামাই শ্বশুর বাড়ীর যাবতীয় খোঁজ খবর রেখে থাকে। এমনকি বাড়ীর ছেলের মতো। কেউ কেউ বলে শ্বশুর বাড়ী নাকি মধুর হাড়ী। অন্যদিকে বাপের বাড়ীর বদনাম করে থাকে নিজের বাড়ীর ছেলে-মেয়েরাই কখনো কখনো। যেমন বাপের বাড়ীর সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে কিংবা বেড়াতে এসে ভালো ব্যাবহার না পেলে। অথবা ভাবী-ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হলে। অন্যদিকে বউয়ের সাথে শাশুড়ির বা ননদ-দেবর যাদের সাথে ঝগড়া বা মনোমালিন্য হলে তখন বাপের বাড়ীর বিরুদ্ধে নানান বদনাম করা হয়। যারা আবার বউ পাগল কিংবা বউয়ের হুকুমে চলে তাদের বেলায় একেবারে সঠিক। কিংবা যারা ঘর জামাই থাকে। এসব ক্ষেত্রে শশুর শাশুড়ির সাথেই বেশী দূরত্ব সৃষ্টি হয়। অন্য দিকে ননদের সাথেও বিরোধ হয়। কখনো কখনো তুঙ্গে উঠে যায়। আবার কখনো কখনো দেবর-ভাবীর সাথেও গভীর সম্পর্ক থাকে। তবে ননদের সাথে সম্পর্কের অবনতি থাকে প্রায়ই দেখা যায়। কেউ আবার শ্বশুর বাড়ীর সম্পদ নিয়ে নানা মতলব করে থাকে। অন্যদিকে বাপের বাড়ীর সম্পদ অতি তাড়াতাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে বউরা। আবার কোনও বউ বলে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ভোগ দখল করে খাচ্ছে খাক তাই বিক্রি করার দরকার নেই। বাপ-দাদার স্মৃতি থাক। সুতরাং শ্বশুর বাড়ী-বাপের বাড়ী নিয়ে রয়েছে নানা ঘটনা। কেউ কেউ নিজের বাপকে বাপ ডাকতে দ্বিধা করে কিন্তু শ্বশুর আব্বাকে আব্বা বলতে দ্বিধা করে না। অন্যদিকে নিজের মাকে মা বলতে চায় না কিন্তু শাশুড়ি আম্মাকে আম্মা বলতে পাগল।

Admin

Amir hossain is a social article writer. he likes to share knowledge and Interested research content of biodiversity, climate, travel, photography

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form