অতীত

দিন আসে দিন যায় স্মৃতি কখনো হারায় না,
উদীয়মান নতুন সূর্য আনে নতুনের বায়না।
পাও কি খুঁজে রাখাল ছেলে ধেনু চরায় মাঠে?
যায় কি বধু কলসি কাঁখে মরা নদীর ঘাটে।
দেখো কি আর মাঝি মাল্লা রঙিন পালের নাও?
মাঝির মুখে ভাটিয়ালী গান শুনতে কি আর পাও।
রাখাল ছেলের বাঁশির সুর বাজে কি আর কানে?
পল্লী বধুর শাড়ির আঁচল ঘোমটা কি আর টানে।
নতুন যুগের নতুন হাওয়া বদলে গেছে সব,
হাওয়ায় উড়ে চলছে মানুষ মুখে কলরব।
এগুলো সব অতীত কথা আছে স্মৃতির পাতায়,
শুনছো যাহা দেখবে তাহা শুধু কবির খাতায়।
কলসি কাঁখে গাঁয়ের বধূ
কলসি কাঁখে গাঁয়ের বধূ
অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ এই তিন সময়ের পর্ব ঘিরে থাকে আমাদের। অতীত থাকে স্মরণে, বর্তমান ক্ষণস্থায়ী, আর ভবিষ্যৎ অদৃষ্ট। এর মধ্যে অতীত সর্বাধিক শক্তিশালী। প্রতি মুহূর্তে বর্তমান ও ভবিষ্যতের যে অংশ যখনই বর্তমানে আসছে, তাদের নিমজ্জিত করছে নিজ গর্ভে। সময় অত্যন্ত বলশালী, সময় পাল্টায় আমাদেরও পাল্টে দেয়। নতুনের দাবী মেটাতে আমাদের পাল্টে যেতে হয়। বর্তমান অতীতের গর্ভে চলে যায়। কিন্তু তা বিনষ্ট হয় না। স্মৃতি হিসাবে বেঁচে থাকে আমাদের স্মরণে, মননে। সেই স্মৃতি নিয়ে আমরা বাঁচি, সময়ের হাত ধরে আমরা স্মৃতি নিয়ে পাড়ি দেই। এইভাবে নতুনের মধ্যেও পুরনো বেঁচে থাকে। অতীতকে বাদ দিয়ে বর্তমান নয়, অতীত বর্তমানের ভিত্তিভূমি। আর পরিবর্তন এক চিরন্তন সত্য।

Admin

Amir hossain is a social article writer. he likes to share knowledge and Interested research content of biodiversity, climate, travel, photography

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form