রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ হোক

ইসলাম ধর্ম হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র শান্তির ধর্ম অথচ বর্তমান পৃথিবীতে যত প্রকার অশান্তি হচ্ছে এক মাত্র ইসলাম ধর্মে। যার কারণে অন্য ধর্মের মানুষ আমাদের কে নিয়ে হাসাহাসি করে। এর জন্য দায়ী কিছু আলেম সমাজ। আমি মনে করি রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হোক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামের ব্যবহারে আজ ইসলাম সমালোচিত হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে ধর্মের পবিত্রতা। ইসলামের নামে রাজনৈতিক দল বানিয়ে তাকেই আল্লাহর দল বলে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। ইসলামী দলগুলোর পাশাপাশি প্রধান দলগুলোও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে ইসলামকে। ইসলাম অর্থ শান্তি। আর রাজনীতি হচ্ছে - রাজা হবার নীতি, কৌশল ও পদ্ধতি। যারা রাজনীতি করে তারা প্রত্যেকেই রাজা হতে চায়। রাজনীতিতে দলাদলি, হানাহানি, বিরোধী দল ও ব্যক্তির সমালোচনা, কুৎসা ও গুজব রটনা, পরস্পরের প্রতি বিষোদগার, ইত্যাদি থাকবেই। কিন্তু কোন ধর্মে এসব থাকতে পারে না। একজন সফল রাজনীতিককে শেয়ালের মতো ধূর্ত আর সিংহের মতো হিংস্র হতে হয়। কিন্তু একজন ধার্মিক ব্যক্তিকে হতে হয় নম্র, বিনয়ী, সত্যবাদী। মুসলিম শব্দের অর্থ - শান্ত, ভদ্র। যে ব্যক্তি শান্তি ধারণ, পালন ও লালন করেন তিনিই মুসলিম। মুসলিমের লক্ষ্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল নয়, আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন। সামপ্র্রদায়িক রাজনীতির ধ্বজাধারীরা ধর্মকে পণ্য হিসেবে বিক্রি করে। ইসলামের মতো মহান ধর্মকে ধর্ম ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকরা পরিণত করেছে তাদের আত্মস্বার্থ হাসিলের ধর্মে। বাংলাদেশে ধর্ম ব্যবসা এখন সবচেয়ে বড় ব্যবসা। অথচ এদেশের মানুষ বারবার প্রতারিত হয়েছে ধর্মব্যবসায়ীদের হাতে। সুতরাং, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাস্তবায়িত হোক। নিষিদ্ধ হোক রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার। তাহলে নিঃসন্দেহে বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, হাজার বছরের ঐতিহ্যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ সম্মিলিতভাবে বেঁচে থাকার প্রয়াস সফল ও সার্থক হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form