সূর্য বন্দনা

বেলা যে মাথার পরে এল,
মন্দির বুঝি ‘কদলী-কুসুমে’ ভেসে ভেসে গেল।
মন্দিরে পূজারী হাজির,
ভোগ আকালে মুখে হেরি বিড়বিড়।
মন্দির-ভোগে যেথা তার তিনবেলা পেট চলে,
আজ তার সে ব্যবসা ভেসে গেল অদৃশ্য জলে।
লাল লাল চোখে ভাবে কিবা,
হরদম শুকে যায় হেরি তার গ্রীবা।
মুখে বিরক্তি ভাব খাদেমেরে ডাকে অনুরাগে,
এদিকের জল ওদিকে হেরি রক্তিম হয়ে জাগে।
পূজারী কহে অমানুষ তুই,
তোরে দেখি আজ বিষময় লাগে ভুঁই।
পূজারী পূজা বোঝে, বোঝে’না দেবতা-শান,
পূজার পণ্যের তরে মানুষেরে করে অপমান।
এহেন সময় ভাঙিল বিভেদ,
খাদেম বলে পূজারী তুমি দেবতারে নাহি চেনো,
তোমার পূজা লোভ লালসা উদর পূজা যেনো।
ভেঙে ফেলো এ এজলাস,
চাহি তুমি পাপ হতে পাও খালাস।
শ্রম শেখো পূজারী উদর ভরাও শ্রমের বিনে,
এই ফাঁকে ডাকো দেবতারে দেবতা নিবে চিনে।
পূজারীর ভাঙিল ভুল,
অদূর দরিয়ায় সে খুঁজে পেল কূল।
ঘর্ম ঝরায়ে কর্ম করে মন্দিরে হাজির পূজারী,
দেবতাকে সে হৃদয়ে পেতে বুক তার হয় ভারী।
এ প্রেম ছিল না এতদিন,
অকর্মণ্যতা মানুষকে করে বড় হীন।
কর্ম মানুষকে স্বাবলম্বী করে বাড়ায় জ্ঞান-বুদ্ধি,
চলার পথ মসৃণ করে জীবনকে করে শুচি-শুদ্ধি।
পূজায় রত এক হিন্দু মহিলা | আমির হোসেন

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form