সব পাখি এক নয়, মানুষের ভয়ে সব পাখি পালিয়ে বেড়ায় না। কিছু পাখি উড়ে মাথার চারপাশে চক্কর দেয়। ছড়িয়ে দেয়া খাবার খায় মহা আনন্দে। কখনো এসে বসে গাছের ডালে। কিছু পাখি আছে কখনো লোকালয়ে আসে না। গভীর বনে বাস করে সেই নানা বর্নের নাম না জানা পাখি। তেমনি একটি অচেনা পাখি একদিন এসে বসলো আমার জানালার পাশের গাছটির ডালে। ছোট্ট ১টা পাখি কিন্তু কি তার রুপ, কি তার রং। ।হঠাৎ অনেক পাখির কিচি মিচিরে আকৃস্ট হয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি পাখিদের মেলা বসে গেছে। চেনা অচেনা অনেক পাখি জটলা করছে ১টি নাম না জানা পাখিকে ঘিরে। কেউ কেউ গ্রামের বুড়োদের মতো আলোচনা করছে পরস্পরের সাথে। কেউ এগিয়ে এসে ঠোকর মারছে ছোট্টো পাখিটার গায়ে। পাখিটার চোখে কি অসহায় দৃষ্টি? আমি অবাক হলাম। দ্রুত ছুটে বের হলাম। কিন্তু ততক্ষনে অনিষ্ট যা হওয়ার হয়ে গেছে। রক্তাক্ত পাখিটিকে পড়ে থাকতে দেখলাম গাছের নিচে। তার বর্নিল ডানা বেয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে ঘাসে। আলতো করে হাতে তুলে নিলাম পাখিটাকে। ঘরে এসে তুলো আর সেভলন দিয়ে পরিষ্কার করলাম ক্ষতগুলো। কিন্তু রক্ত পড়া বন্ধ করতে পারলাম না। অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখলাম তার বাঁচার আকুতি। পাখিটার চোখ থেকে গড়িয়ে পড়লো পানি। কেমন যেন অভিমানি চোখে আমার দিকে তাকালো। তারপর নিস্তেজ হয়ে গেল। বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো। কোনো মতেই চোখের পানি আটকাতে পারলাম না। ভাবছিলাম তারও হয়তো ১টা সঙ্গি পাখি ছিলো। যে অপেক্ষা করে আছে তার জন্য। সেই থেকে জানালাটা খোলা রাখি। নাম জানা-অজানা এরকম পাখিদের মতো দখলদারেরা খুন করছে হাজার জীবন। আমি, আমরা কিছুই করতে পারি না।