বাঙালি পুরা জাতি ধৈর্যর উপর খাড়া আছে। সরকারি অফিস থেকে পাবলিক টয়লেটে টাকা দিয়ে কর্ম সারবেন তারও উপায় নাই, যেখানেই যান ধৈর্য ছাড়া গতি নাই। বর্তমানে যে হারে ধৈর্যের ব্যবহার হচ্ছে কিছুদিন পর হয়ত বাংলা ছবিতে "ছেড়ে দে শয়তান” এর পরিবর্তে বলবে “ধৈর্য ধর শয়তান”। আফসোস, ধৈর্যের উপর কোনো নোবেল নাই। যদি থাকতো তাহলে ধৈর্যশীল জাতি হিসাবে আমরা নোবেল পেতাম- প্রতি ৫ বছর আমরা ধৈর্য ধরে নির্যাতিত হই... আশায় থাকি পরবর্তী ৫ বছরের কিন্তু আমাদের অবস্থার আর পরিবর্তন হয় না, আমরা আবার ধৈর্য ধরি।
ধৈর্য ভাঙার একটা গল্প মনে পড়ে গেল......
এক লোকের ২ ছেলে। বাবা বড় ছেলের থেকে ছোট ছেলেকে একটু বেশি আদর করে। বড় ছেলে একদিন বাবাকে বলল- ”আব্বা আমারে একটা প্যন্ট কিনে দাও, আমার প্যন্টটা ছিঁড়ে গেসে। ছেলে মানুষ মাত্রই জানে যে প্যান্ট কোন জায়গা দিয়ে ছিঁড়ে, দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে... বাকি টুকু বুঝে নিবেন। বাপ বলে- “ধৈর্য ধর”।ছেলে আবার বলে, বাপ বলে- “ধৈর্য ধর”। যত বারই বলে, বাপ বলে- “ধৈর্য ধর”। একদিন খেতে বসার পর ছেলে যখন ওই একি কথা বলল, বাপ বলে- “ধৈর্য ধর”।তখন ছেলেটা উত্তর দেয়- “ধৈর্য ধরতে ধরতে তো ধৈর্যের বিচি বের হয়ে গেল, আর কত ধৈর্য ধরুম”?