শয়তান শব্দটা নাটক সিনেমায় বেশ গুরুত্ব বহন করে। বাংলাসিনেমার চম্পা জাম্বু কে বলে, “ছেড়ে দে শয়তান। দেহ পাবি কিন্তু মন পাবিনা”। জাম্বুর স্মার্ট জবাব (নিজের টাকে হাত বুলিয়ে), “ওতেই চলবে”। শয়তান যে খালি সিনেমায় হয় এমন না। ইলিয়াস কাঞ্চন আর অঞ্জু ঘোষ এর কোন এক বাংলা সিনেমায় বাসর রাতের সিন। অঞ্জু ঘোষ এর হাতে গ্লাস ভরা দুধ। নাকি দুধ ভরা গ্লাস! যাই হোক না কেন, ইলিয়াস কাঞ্চন ঘোমটা উঠিয়ে বলে, তোমায় আজ পুর্নিমার চাঁদের মত লাগছে। অঞ্জু ঘোষ বলে- 'যাহ শয়তান'।
শয়তানের ফেমিনিন জেন্ডার কি সেটা অবশ্য জানা নেই। কারন ধোপা থেকে ধোপানি, মামা থেকে মামানি যেরকম হয় শয়তান থেকে শয়তানি সেরকম হয়না। শয়তান বিশেষ্য শয়তানি বিশেষন। তাহলে মেয়ে শয়তানদের মনে হয় মহিলা শয়তান বলে।
যাই হোক শয়তান বনাম মানুষের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত মানুষই জিতে। সেরকম একটা ঘটনা দিয়ে এই হাবিজাবি লেখা শেষ করি।
একজন খারাপ চরিত্রের লোক ছিলো, বিকৃত রুচি। সে খালি মেয়ে মানুষ না, ছেলে, বৃদ্ধা, গরু, ছাগল, কুকুর, যা পাইত তার সাথেই আকাম কুকাম করত। জীবনের প্রথম ২২ বছর তার এভাবে গেল। বলাই বাহুল্য সব শয়তানের কু-মন্ত্রনা। এর পর একদিন হটাৎ ভাল হয়ে গেল। সে বলল আগামী ২২ বছর আমি খালি ধ্যান করব এরপর সে ধ্যান করা শুরু করল। কঠিন সাধনা এবং তপস্যা। সে ভাল হয়ে গেল। শয়তান তো চিন্তায় পড়ে গেল! যেভাবেই হোক ২২ বছরের আগে তার বিচ্যুতি ঘটাতেই হবে। ধ্যান করার বয়স যখন ৫ বছর তখন শয়তান তার সামনে সুন্দরী মেয়ে আনল। নাহ, খারাপ চরিত্রের লোকটার ধ্যান ভাঙ্গলনা। ১০ বছর পর তার থেকে ভালো কোয়ালিটি ফিগারের মডেল গুলাকে আনা হল। নাহ, এখনও ধ্যান ভাঙ্গেনা। আরি কি আজব ব্যাপার!! ২০ বছরের সময় শয়তান একেবারে বেহেশতের হুরপরীগুলাকে আনল। নাহ, তাও ঐ লোকের ধ্যান ভাঙ্গেনা। শয়তান তো চিন্তায় পড়ে গেল! শেষ পর্যন্ত মানুষের কাছে হার! এরপর শয়তান নিজেই মেয়ে সাজল। মেয়ে সেজে ঐ লোকের কাছে গেল। লোকের চোখ খুলল। দেখে সামনে অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে। সে তারপর তার ধ্যান ভেঙ্গে কুকাম শুরু করল। সব শেষ হওয়ার পর শয়তান নিজের বেশ এ ফিরে আসল। শয়তানের ট্রেড মার্ক অট্টহাসি শুরু হল। ভাংসি তোর ধ্যান ভাংসি। মানুষ কখনও শয়তানকে হার মানাইতে পারবেনা। লোকটাও অট্টহাসি শুরু করল, শয়তান অবাক! কিরে তুই হাসস ক্যান? লোকটি বলে- ২২ বছর আগে তো সবগুলারে কুকাম করছি, খালি বাকি ছিল শয়তান। ২২ বছর সাধনা কইরা আইজ শয়তান কে কুকাম করছি, হ্যা হ্যা হ্যা!
আসেন আমরা শয়তান থেকে দূরে থাকি। আর ভাল তপস্যা সাধনা করি। যাতে শয়তান আমাদের কোন ক্ষতি করতে না পারে।