সমাজ চলে সমাজের নিয়মে, মানুষ চলছে কোন নিয়মে?

সন্তান যেন মানুষ হয়

"হে দারিদ্র তুমি মোরে করেছো মহান" কবির এই উক্তিটি ছোট বেলা পড়েছিলাম কিন্তু বুঝে উঠতে পারিনি। এখন বুঝতে পারি উক্তিটির মানে কি?

আমার পরিচিত একবোন দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে তার স্বামীর সংসার। বাড়ির পাশে পানের দোকান দৈনিক রোজগার বড়জোর একশ আশি টাকা, সংসার তাতে কি চলে? কিন্তু দেখি বেশ ভালোই আছে! পড়ে জানতে পারি মেয়েটা অনেক কষ্ট করে এস, এস, সি পাশ করলো। ইন্টার পড়ছে কিন্তু টাকার অভাবে বই কিনতে পারেনি। কলেজের বন্ধু-বান্ধবীর বই নিয়ে পড়ে আর অবশিষ্ট কিছু ফটোকপি তার পড়ার জন্য আছে। নিজে প্রাইভেট পড়ায়, তার চিন্তা দুটো ছোট ভাইকে মানুষ করতে হবে। ছোট ভাইয়ের বয়স ১০ বছর। সে চেষ্ঠা করে প্রত্যেক মাসে দু চারশ টাকা রোজগার করার প্রাইভেট আর খাতা বই কিনতে তো হবে। তার ছোট ভাইয়ের বয়স ৭ বছর, সে খুব আদরের তাকে কোন কাজ করতে দেয়না। কিন্তু যখন তার আবদার মেটাতে পারেনা তখন আড়ালে মুখ লুকিয়ে কাঁদে। রাতে যখন ক্ষুধার যন্ত্রনায় ছোট ভাই কাঁদে, মা তখন বুকের জড়িয়ে ধরে বলে- তুই ঘুমিয়ে পর, তোর বাবা খাবার নিয়ে আসবে! এভাবেই চলছে তাদের সংসার কিন্তু তাদের কারও কাছে কোন অভিযোগ নেই শুধু কামনা সন্তানরা যেন মানুষ হয়। তাদের পাশে দাড়াবার কেউ নেই। সমাজ চলে সমাজের নিয়মে, মানুষ চলছে কোন নিয়মে? তা দেখা বোধগম্য নয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form