নারীর দুরন্ত অগ্রযাত্রা

নারীর দুরন্ত অগ্রযাত্রা

ভারতে ১৮ শতাংশ পুরুষ ধর্ষিত হয়, নারীরা তাদের যৌন হেনস্তাও করে। কিন্তু পুরুষ সে কথা বাইরে বলতে পারে না। দেশের আইন প্রায় পুরোটাই মেয়েদের পক্ষে। পুরুষ তাই নিরুপায়। এ সমাজ আর সেভাবে আজ পুরুষতান্ত্রিক নয়, বরং মেয়েদের হাতেই চলে যাচ্ছে অনেক ক্ষমতা। আর এই ক্ষমতাই পচন ধরাচ্ছে, ভুগছেন পুরুষরা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস মেয়েরাই বেশি করে, ছেলেরা নয়। পুরুষরা সাধারণত পরিবারের মধ্যেই ধর্ষিত হয়। তাছাড়া পাড়ার চাচি, পিসি, দিদিরা করে থাকেন। ধরণের ঘটনার একটা বড় অংশের শিকার হয় বয়ঃসন্ধির ছেলেরা। তারা যখন বাড়িতে এসে মা-বাবাকে এসব বলে, তাঁরা তখন বলেন- “এসব বলতে নেই। উনি তোমাকে ভালবাসেন”। যদিও মেয়েরা এমন অভিযোগ করলে বাবা-মায়েরা গুরুত্ব দিয়ে সে কথা শুনে ব্যবস্থা নেয়। একথা অনস্বীকার্য যে ভারতে নারীর জন্য ৪৯টি আইন অথচ নারীদের নির্যাতন থেকে পুরুষের সুরক্ষার জন্য কোন আইন নেই। ভারতে প্রতি বছর ম্যাট্রিমনিয়াল ডিসপুটে ৯৮ হাজার পুরুষ আত্মহত্যা করেন। সেখানে নারীর সংখ্যা ৩১ হাজার। আর নারীদের আত্মহত্যার কারণ পণ। অথচ পণ দেওয়া ও নেওয়া দুটিই অপরাধ। ক’জন মেয়ের বাবা দোষী সাব্যস্ত হয় এ জন্য? তাছাড়া পণের পিছনেও মেয়েদের বিশাল ভূমিকা-‘দিদিকে দিয়েছ, আমাকে কেন দেবে না?’ এই তো অধিকাংশের মানুষের মানসিকতা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসে’র ব্যাপারটাও মেয়েরা সব থেকে বেশি করে। ছেলেরা থানায় যায় না তাই। মেয়েরা যেই না মোটা রোজগারের বর পেয়ে যায়, ওমনি প্রেমিককে ছেড়ে চলে যায়। আর তার আগে দু’জনের মধ্যে সব রকম সম্পর্কই তৈরি হয়। এর বাইরে আরও আছে ’মা’- মানেই একটা মিথ।মায়েরা সন্তানকে ওষুধ খাইয়ে হুইল চেয়ারে বসিয়ে রাখে যাতে বাবার থেকে আরও বেশি করে টাকা আদায় করতে পারে। ফ্ল্যাট লিখিয়ে নিতে পারে। গান গেয়ে উপরে উঠতে, সিনেমায় অভিনয় করতে, চাকরিতে উন্নতি করতে।

তাই পুরুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজে গণআন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। তবে দুঃখের বিষয় পুরুষরা নারী দিবস পালন করেন, অথচ পুরুষ দিবস কবে, সেটাই জানেন না। নারীবাদী পুরুষরাই সব থেকে বড় বাধা তাদের সামনে। কারণ, এই ধরনের পুরুষরা তাদের আন্দোলনকে অপ্রাসঙ্গিক হিসাবে তুলে ধরতে চায়। আর তাঁরা পুরুষ হয়ে পুরুষাধিকারের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাদের কাজটা কঠিন হয়ে যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form