আত্মসন্মান এমন একটি শব্দ। যেটিকে কখনো দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় কিন্তু অনুভব করা যায়। মানুষের ব্যক্তিত্বের মাধ্যমেই এই আত্মসন্মানের আত্মঃপ্রকাশ ঘটে। আমাদের যদি আর্থিকভাবে সমাজে প্রভাব নাও থাকে তবুও আমরা কিন্তু এই আত্মসন্মান এর মালিক হতে পারি। আমরা হর হামেশাই দেখে থাকি কিংবা শুনে থাকি যে অমুক লোকটা আজকে লজ্জায় আত্মহনন করেছে। এর কারণ জানার চেষ্ঠা করলে জানতে পারি, চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পারে নিজের জীবন নিজেই শেষ করে দিয়েছে। আসলে মানুষ সমাজে তিলে তিলে সবার সামনে একটা সন্মানী পর্যায় গড়ে তোলা। যখন কেউ এই সন্মানটাকে নিয়ে খেলা করে তখন সেটা বেজায় অপমানবোধ লাগে। আত্মসন্মান গড়ে তুলতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু এই সন্মানটাকে ভেঙে দিতে একটা মুহুর্ত সময় ও লাগে না।
আমাদের সবার মাঝেই আত্মসন্মানবোধ রয়েছে। সবাই নিজেকে স্পেশাল মনে করি। যখন কেউ এই আত্মসন্মানে আঘাত করে তখন নিজেকে সব থেকে ছোট মনে হয়। ডিপ্রেশন কাজ করে মনের মধ্যে। আর এই ডিপ্রেশন এক সময় হয়ে দাঁড়ায় আত্মহত্যার কারণ। আত্মসন্মান অনেকে অনেক রকমভাবে উপলব্ধি করে। তাই, আমাদের ভেবে চিন্তে সবার সাথে আচার-আচরণ করা উচিত।
আত্মসন্মান কিঃ-
আমি প্রথমেই বলেছি, আমরা একেকজন একেকভাবে এই আত্মসন্মান উপলদ্ধি করি। মূলত, আত্মসন্মান হলো নিজেকে সন্মান করা, নিজের ইচ্ছা, ব্যক্তিত্ব, চেতনা, সিদ্ধান্ত ইত্যাদিকে সন্মান করা। আত্মসন্মানের প্রথম ধাপ বা প্রক্রিয়া হলো নিজেকে সন্মান করা ও অন্যের প্রতি সর্বদা সৎ থাকা। কখনো অন্যায় না করা, মিথ্যা থেকে নিজেকে এড়িয়ে রাখা। আত্মসন্মানটা বজায় রাখা সম্ভব হয় বিশ্বাসের মাধ্যমে।
আত্মসন্মানের বলীদানঃ-
আত্মসন্মানের বলীদান বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি, যখন কেউ আপনাকে চরমভাবে অপমান করলো। কিন্তু কিছুদিন পর আপনি আবার তার ডাকে সারা দিলেন এবং বরাবরের মতোই আবার সে আপনাকে অপমান করলো। যদি আপনি চান আপনার এই আত্মসন্মানটাকে সুরক্ষা করতে তাহলে এই রকম মানুষের থেকে সর্বদা দূরত্ব বজায় রাখাই শ্রেয়। কখনো এমন লোকের আশে পাশে যেনো যেতে না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, যারা অন্যের সন্মানকে, সন্মান দিতে জানে না! তার মধ্যে কোনো আত্মসন্মানবোধ থাকতেও পারে না। আর একজন আত্মসন্মানহীন লোক খুব সহজেই অন্যকে অপমান করতে পারে।