একটি গ্রামে এক শিক্ষিত লোক ছিলেন। গ্রামের অধিকাংশ মানুষেই ছিলেন অশিক্ষিত, লেখতে পড়তে জানতো না। ঐ শিক্ষিত লোকটি কথায় কথায় গ্রামের মানুষদের মুর্খ্য বলে তিরস্কার করতো। নিজ শিক্ষার অহংকার করতো। এ বিষয়টি নিয়ে গ্রামের মানুষেরা মনে খুব কষ্ট পেতো। একদিন গ্রামের সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিলো মুর্খ্যতার অভিশাপ থেকে গ্রামের মানুষকে মুক্ত করতে। সকলে সমবায় সমিতির মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে একটি স্কুল নির্মান করলো। স্কুল নির্মান করে ঐ শিক্ষিত সাহেবের কাছে প্রস্তাব রাখলেন- স্যার, আপনি অত্র গ্রামের একমাএ শিক্ষিত বিদ্ধান। আপনাকে আমরা সকলেই শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। আপনি যদি আমাদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার আলো দেন আমরা গ্রামের সকলেই আজীবন আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। আপনার নামে স্কুলের নামকরণ করেছি। আপনি আমাদের গ্রামের গর্ব ও অহংকারের প্রতিক। তখন ঐ শিক্ষিত বিবেক নামের মনুষ্যত্ব দিয়ে নিজের ভুল বুছতে পারলো। অনুতপ্ত হলেন সকলের কাছে। গ্রামের সকলের আন্তরিক ভালোবাসা দেখে খুব খুশি হলেন। কয়েক বছর পর ঐ গ্রামের সকলেই শিক্ষিত হলো। পর্যায়ক্রমে ঐ গ্রামে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা স্থাপন হলো।শিক্ষার প্রচার প্রসারে গ্রামটির সুনাম চারিদিকে ছঁড়িয়ে পড়লো। ডাক্তার ইন্জিনিয়ার প্রফেসর আলেম ওলামায় ভুরপুর সমৃদ্ধ গ্রাম।
গল্পটি থেকে শিক্ষার বিষয়- সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতীর কল্যানে আত্মনিয়োগ করাটাই শিক্ষার মুল উদ্দ্যেশ্যে। শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে, ভাল পথের সন্ধান দেয়। কলম যতই মুল্যবান হউক কালী না থাকলে কলমের মুল্য নাই, তেমনি যতই বড় বিদ্ধান হউক যদি বিবেক নামের মনুষ্যত্ববোধ হৃদয়ে না থাকলে বিদ্ধান জ্ঞানীর পরিচয় কোন কাজে লাগে না। তার দ্বারা সমাজের কোন উপকার হয় না। দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিজাত্য।
গল্পটি থেকে শিক্ষার বিষয়- সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতীর কল্যানে আত্মনিয়োগ করাটাই শিক্ষার মুল উদ্দ্যেশ্যে। শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে, ভাল পথের সন্ধান দেয়। কলম যতই মুল্যবান হউক কালী না থাকলে কলমের মুল্য নাই, তেমনি যতই বড় বিদ্ধান হউক যদি বিবেক নামের মনুষ্যত্ববোধ হৃদয়ে না থাকলে বিদ্ধান জ্ঞানীর পরিচয় কোন কাজে লাগে না। তার দ্বারা সমাজের কোন উপকার হয় না। দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিজাত্য।
Tags
গল্প