জন্মের পর একটি শিশু কি করে? স্বাভাবিকভাবেই কান্না করে। তারপর কিছু সময় যাবার পর মানে বছর দেড়েক পরে কিছু ভিন্ন রকম শব্দ করে। আসলে এটা কিন্তু নিছক কোন সাধারণ শব্দ না। চারপাশে সে যে কথা বা বিভিন্ন ধরণের আওয়াজ শোনে সেগুলো সে অনুকরণ করার চেষ্টা করে। তারপর আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে সে কিছু কিছু কথা বলতে শিখে। একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে আমরা ঘরের ভিতর সাধারণত যে শব্দগুলো বলে থাকি সেগুলোই সে বলতে শুরু করে। এটা আমরা সবাই মেনে নিব যে, তুলনামূলক বাহিরের থেকে ঘরে সবাই শালীন কথাই বেশি বলে থাকি। এজন্য ছোট ছোট বাচ্চাগুলো প্রথম প্রথম সুন্দর সুন্দর কথা বলতে শিখে। আপনি কি এটা লক্ষ্য করেছেন? ছোট বাচ্চাটিকে তাঁর বাবা অথবা মা যখন শাসন করে তখন সে শুধু কান্না করে। মা-বাবার প্রতি রিএক্ট করে না। এমন তো প্রায় সময়েই দেখা যায় বিশেষ করে নিন্ম ও সুশিক্ষাবিহীন সমাজে সন্তান বড় হয়ে গেলে বাবা মা শাসন করার সাথে সাথে সে রিএক্ট করে থাকে। প্রশ্ন এখানেই, সে ছোট বেলায় রিএক্ট করেনি, কিন্তু বড় হয়ে করল। তারমানে সে এটা কোথাও থেকে শিখেছে। এখন শিক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে আমরা আমাদের পরিবারকে ঢেলে সাজাতে পারি। এটা আমরা জানি পরিবারই আদর্শ শিক্ষা কেন্দ্র। তারপর যদি বাহিরের ব্যাপার আসে তাহলে কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে? এগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। বর্তমান যুগে আরেকটি বিশেষ বিষয় হলো ইন্টারনেট। আর ইন্টারনেটের সর্বোত্তম ডিভাইস হল মোবাইল। এই মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেটের বদৌলতে এখন অনেক কিছু শিক্ষা লাভ করা যায়। আপনার সন্তান ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার করছে কিনা লক্ষ্য করুন।
সেই প্রথম লাইনের কথা ধরে যদি বলি কেন একটি মানুষ অমানুষ হবে? জন্মের পর সবাই মানুষ হিসেবে জন্ম গ্রহণ করে। নিষ্পাপ একটি শিশু কিভাবে অমানুষ হবে? আমরা যদি পারিবারিক যথাযথ শিক্ষা দেই, সব সময় ঘরের সুন্দর করে কথা বলি, বাহিরের পরিবেশটাকে সুন্দর করতে পারি। তবে আর দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। আপনি একটি আদর্শ সন্তান, আদর্শ মানুষ, আদর্শ দেশ সবই পাবেন। এবং এটাও বলতে পারি আজ যদি আমরা পরিশ্রম করে একটি সুন্দর জাতি গড়ে দিতে পারি এর ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, ভবিষ্যতের ধারা এমনিতেই সুন্দর চলবে।