পবিত্র আল কোরআনে বর্ণিত- বালির নীচে সমাহিত এক গোপনীয় জগত, যাহা কখনও পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়নি।
রুব আল-খালি বিশ্বের বৃহত্তম বালু মরুভূমি। সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেনের অংশকে ঘিরে এই মরুভূমিটি প্রায় ৬৫,০০০ বর্গ কিলোমিটার। এটি বৃহত্তর আরবীয় মরুভূমির একটি অংশ।
আরবের ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ হামাউদ আল-শান্তি বলেছেন- রুব আল খালির উপর পরিচালিত বেশ কয়েকটি ভূতাত্ত্বিক গবেষণায় মানব বসতি অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তারা পানির অববাহের নিকটে বাস করত যা মাছ ধরার অনুশীলনকে নিশ্চিত করে এবং বছরের পর বছর ধরে মানুষ ক্রমাগত বাস করেছেন। রুব আল খালিতে অনেক প্রকারের বালি রয়েছে যা জায়গাটির পরিচয় এবং মানব বসতির ইতিহাস প্রতিধ্বনিত করে। বালির নীচে সমাহিত এক গোপনীয়তার জগত।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত, আদ জাতি ছিল মূর্তিপুজক। হজরত হুদ (আঃ) তাদের মূর্তিপূজা ছেড়ে একত্ববাদের অনুসরণ করতে এবং সর্বপ্রকার অত্যাচার উৎপীড়ন বর্জন করে ন্যায় ও সুবিচারের পথ ধরতে আদেশ করেন। কিন্তু তারা নিজেদের ধনৈশ্বর্যের মোহে মত্ত হয়ে তাঁর আদেশ অমান্য করে। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি আজাব নাজিল করেন। তাদের প্রতি প্রথম আজাব ছিল অনাবৃষ্টি। তিন বছর পর্যন্ত তাদের এলাকায় বৃষ্টি বন্ধ ছিল। এতে তাদের ফসল জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। অতঃপর আট দিন সাত রাত তাদের এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়। এতে তাদের বাড়ি-ঘর, জীব-জন্তু সব ধ্বংস হয়ে যায়। তারা নিজেরাও শূন্যে উড়তে থাকে। এতে তারা মরে উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে। আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সেরা শক্তিধর আদ জাতিকে এভাবে ধ্বংস করেন। বর্তমানে আদ জাতির এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।