চিলেকোঠার চৌকাঠে এক মস্তবড় ফাঁক ছিল।
সেই ফাঁকেতে লেজ বাঁকা এক কাক ছিল।
বানিয়ে বাসা কে জানে সে কবে থেকেই থাকছিল।
কয়েকটি ডিম নিয়ে তা হুলোর ভয়ে ঢাকছিল।
দুদিন পরেই মা হবে, তার স্বপ্ন মনে আঁকছিলো।
চাতাল তলার পেঁপেগাছে তিন টি পেঁপে পাকছিলো।
শালিক-চড়াই না দেখে, তাই চোখে চোখে রাখছিলো।
গেট পেরিয়ে একটু দূরেই চৌরাস্তার বাক ছিল।
সেখান দিয়ে মিঠাই নিয়ে ময়রা কাকু হাঁকছিলো।
কাকার মাথায় টাক ছিল, বুদ্ধিতে সে একটু ছেঁড়া-তার ছিল।
ঝুড়িতে তার মিষ্টি দইয়ের হরেক রকম ভার ছিল।
পেছন থেকে ছোটরা সব যে যার মতো ঝাড়ছিলো।
এসব দেখে কাকের মনেও আশার আলো চড়ছিলো।
চার চারটে বাচ্চা পোষার প্রস্তূতিটা সারছিলো।
ক'দিন পরেই মা হলো কাক বাচ্চা গুলো বাড়ছিল।
চিলেকোঠার আড়ালটা তে এক পা, দু'পা হাটছিলো।
সব কিছু ঠিকঠাক ছিল, দিন গুলো বেশ কাটছিলো।
হঠাৎ সেদিন কি যে হলো- কাক টা ভীষণ ডাকছিলো।
পালিয়ে গেছে বাচ্চারা তাই মনটা যে খুব ভার ছিল।
এতক্ষনে হুশ হলো তার বাচ্চাগুলো কার ছিল?
হোকনা তারা কোকিল তবু বুকটা কাকের ফাটছিলো।
ছাদটা তখন কাকের কাছে ব্যাথার ধু ধু মাঠ ছিল।
কাকের মনের চিলেকোঠায় গভীর শোকের দাগ ছিলো।
অবশেষে বুঝলো যে তার চৌকাঠেতেই ফাঁক ছিল।
Tags
ছড়া-কবিতা