নীলাভ্র আকাশ এসে আনন্দিত করে
দূরে সবুজের কাছে লুটে এসে পরে,
যেনো আষাঢ়ের জলে প্রাণ ফিরে পেয়ে
উতলা বাতাস বয় নতমুখী হয়ে।
রৌদ্র করে চিকিমিকি ধানের পাতায়
কোকিল গাইছে গান তরু বনছায়,
রোদের তীব্রতা বাড়ে কৃষকের গাঁয়ে
জ্বলে পুড়ে কালো হয় লাবণ্য হারিয়ে।
মেঠো পথ আঁকাবাঁকা দূর কোন গাঁয়ে
চলেছে ভুজঙ্গ হয়ে পথিকের সায়ে,
দু'পাশে ধানের ক্ষেত সবুজ গালিচা
কোথাও কৃষাণ বধু রোপে শস্য মাচা।
আঁচল টেনেছে মুখে আগন্তুক দেখে
শরমে রইলো পাশে মুখখানি বেঁকে,
চিরায়ত বাংলাময় রূপ যেনো তার
মনে উথ্বলিয়া ওঠে ঐতিহ্য সম্ভার।
রয়েছে নিমগ্ন হয়ে সাড়া শব্দহীন
আধুনিক সভ্যতায় হয়নি বিলীন,
কতো দিন ধরে রাখে আতঙ্কিত মন
রসাতলে ভেসে যাবো থাকবে স্মরণ।
সন্ধ্যার প্রদীপ আনে জোনাকি দর্শন
পথে ঘাটে ঝাড়ঝোপে ঝিঁঝিঁর গুঞ্জন,
পথিকের কণ্ঠে গান আউলা বাতাস
এইতো সরল পথ সজীব নিঃশ্বাস।
চায়ের দোকানে বসে কথার বর্ষন
জড়োসড়ো হয়ে শুনে কারো কারো মন,
কৃষাণি হাঁসকে ডাকে চুচু ফিরে আয়
নেমেছে আঁধার যেনো ডাকে তোর মায়।
কবিমন চনমনে শুধু দেখে যায়
সুখের উন্মেষ ঘটে কৃষাণ পাড়ায়,
কি আছে সম্বল তার ঘরের কোণায়?
তেলচিটে জামাগুলো ঝুলে আলনায়।
এর মাঝে যেনো হাসে হাসির ফোয়ারা
মূলধনী মহাজন রাঙায় চেহারা,
ঘটিবাটি সব যেনো তাদের অধীন
হিসাব করে না তারা হয়ে পরাধীন।
শোষন ভীষণ চুষে উচ্চ মূল্য সুদে
ইউনুসের দেখানো হারামির বোধে,
অনেক বড় বাজার গরিবের খোল
ধনীক শ্রেনী এবার বদলায় বোল।
খাজনা বাড়িয়ে দেয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে
তহসিল ছুঁচো গুলো চেটেপুটে ধরে,
উপজেলা অফিসের চেলায় চামুন্ডা
কৃষকের মাথা যেনো রসাইয়ে মান্ডা।
ভৃত্য গুলো রাজা হয় জনগণ দাস
গণপ্রজাতন্ত্রী হেসে বাড়ায় উল্লাস,
নিজ গৃহে পরবাসী হা-ভাতের হাড়
শহর বন্দর গ্রামে এক সমাচার।
নিশুতির রাতে কবি আকাশের পানে
চেয়ে চেয়ে তারা গুনে জোছনার সনে,
মানবতা পূজনীয় প্রেম প্রেম খেলা
শাশ্বত প্রেমের কবি রবে কি একলা।
হনহন ভনভন মাথা ঘুরে যায়
চেতনার হোলি চলে প্রদীপ শিখায়,
বিবেকী মনন সে কি হলো দলদাস
স্বার্থের-ই বেড়াজালে ভ্রান্তির বিলাস।
পদকে মাদক আছে হাম বড়া ভাব
বুদ্ধির ঢেঁকুর তোলে এমন স্বভাব,
তিলে তিলে গড়া দেশ ডুব দেয় কোথা
শিক্ষার মুকুট পরে কাটে কার মাথা?
এমন নিষ্ঠুর ক্ষণে করি আহ্বান
হাতে হাত দিয়ে রাখো মানুষের মান,
অধিকার সমুন্নত মানুষে কুর্নিশ
মানব আত্মা তোমায় ডাকে অহর্নিশ।
দূরে সবুজের কাছে লুটে এসে পরে,
যেনো আষাঢ়ের জলে প্রাণ ফিরে পেয়ে
উতলা বাতাস বয় নতমুখী হয়ে।
রৌদ্র করে চিকিমিকি ধানের পাতায়
কোকিল গাইছে গান তরু বনছায়,
রোদের তীব্রতা বাড়ে কৃষকের গাঁয়ে
জ্বলে পুড়ে কালো হয় লাবণ্য হারিয়ে।
মেঠো পথ আঁকাবাঁকা দূর কোন গাঁয়ে
চলেছে ভুজঙ্গ হয়ে পথিকের সায়ে,
দু'পাশে ধানের ক্ষেত সবুজ গালিচা
কোথাও কৃষাণ বধু রোপে শস্য মাচা।
আঁচল টেনেছে মুখে আগন্তুক দেখে
শরমে রইলো পাশে মুখখানি বেঁকে,
চিরায়ত বাংলাময় রূপ যেনো তার
মনে উথ্বলিয়া ওঠে ঐতিহ্য সম্ভার।
রয়েছে নিমগ্ন হয়ে সাড়া শব্দহীন
আধুনিক সভ্যতায় হয়নি বিলীন,
কতো দিন ধরে রাখে আতঙ্কিত মন
রসাতলে ভেসে যাবো থাকবে স্মরণ।
সন্ধ্যার প্রদীপ আনে জোনাকি দর্শন
পথে ঘাটে ঝাড়ঝোপে ঝিঁঝিঁর গুঞ্জন,
পথিকের কণ্ঠে গান আউলা বাতাস
এইতো সরল পথ সজীব নিঃশ্বাস।
চায়ের দোকানে বসে কথার বর্ষন
জড়োসড়ো হয়ে শুনে কারো কারো মন,
কৃষাণি হাঁসকে ডাকে চুচু ফিরে আয়
নেমেছে আঁধার যেনো ডাকে তোর মায়।
কবিমন চনমনে শুধু দেখে যায়
সুখের উন্মেষ ঘটে কৃষাণ পাড়ায়,
কি আছে সম্বল তার ঘরের কোণায়?
তেলচিটে জামাগুলো ঝুলে আলনায়।
এর মাঝে যেনো হাসে হাসির ফোয়ারা
মূলধনী মহাজন রাঙায় চেহারা,
ঘটিবাটি সব যেনো তাদের অধীন
হিসাব করে না তারা হয়ে পরাধীন।
শোষন ভীষণ চুষে উচ্চ মূল্য সুদে
ইউনুসের দেখানো হারামির বোধে,
অনেক বড় বাজার গরিবের খোল
ধনীক শ্রেনী এবার বদলায় বোল।
খাজনা বাড়িয়ে দেয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে
তহসিল ছুঁচো গুলো চেটেপুটে ধরে,
উপজেলা অফিসের চেলায় চামুন্ডা
কৃষকের মাথা যেনো রসাইয়ে মান্ডা।
ভৃত্য গুলো রাজা হয় জনগণ দাস
গণপ্রজাতন্ত্রী হেসে বাড়ায় উল্লাস,
নিজ গৃহে পরবাসী হা-ভাতের হাড়
শহর বন্দর গ্রামে এক সমাচার।
নিশুতির রাতে কবি আকাশের পানে
চেয়ে চেয়ে তারা গুনে জোছনার সনে,
মানবতা পূজনীয় প্রেম প্রেম খেলা
শাশ্বত প্রেমের কবি রবে কি একলা।
হনহন ভনভন মাথা ঘুরে যায়
চেতনার হোলি চলে প্রদীপ শিখায়,
বিবেকী মনন সে কি হলো দলদাস
স্বার্থের-ই বেড়াজালে ভ্রান্তির বিলাস।
পদকে মাদক আছে হাম বড়া ভাব
বুদ্ধির ঢেঁকুর তোলে এমন স্বভাব,
তিলে তিলে গড়া দেশ ডুব দেয় কোথা
শিক্ষার মুকুট পরে কাটে কার মাথা?
এমন নিষ্ঠুর ক্ষণে করি আহ্বান
হাতে হাত দিয়ে রাখো মানুষের মান,
অধিকার সমুন্নত মানুষে কুর্নিশ
মানব আত্মা তোমায় ডাকে অহর্নিশ।