সুখ

মানুষ মানুষের দ্বারে,
ফিরে বারে বারে- সুখ নামের পাখি,
অজ্ঞানতার আধারে,
ঘিরে আছে মোদেরে- তাইতো মোরা দুঃখি।

সব অশান্তির মূল কারন,
অজ্ঞানতার দরশন- ধর্মান্ধ যার নাম,
ধর্মান্ধরা রাখছে ঘিরে,
সুখ নামের সেই পাখিটিরে- কাঁদছে ধরাধাম।

খুলতে হবে জ্ঞানের আখি,
তবেই মানুষ হবে সুখি- দেখবে সব সমান,
মহা মানব যতো এলো,
দ্বারে দ্বারে ঘুরে গেলো- বানী করে দান।

মূল মন্ত্র তার মানবতা,
না বুঝে সেই মূল বারতা- ছুটছে স্বর্গ পানে,
স্বর্গ নরক এই মানুষে,
জ্ঞানী দেখে মন হরষে- দেখেনা অজ্ঞানে।

মহানবী বলে গেলো,
দরকার হলে চিনে চলো- করো জ্ঞান অর্জন,
জ্ঞানে হলে আলোকিতো,
বিশ্ব হবে পুলকিতো- হবে আত্ব দরশন।

আত্বশুদ্ধ জাতি পারে,
পথ দেখাতে ধরনীরে- দিতে পরম সুখ,
ইহার বাইরে যতো গীতি,
সকলই পথ ভ্রষ্ট নীতি- যাহার কারন দুঃখ।

আটলান্টিক মহাসাগরে,
খুজলে পাবে তার গভীরে- আছে মুক্তা মনি,
তেমনি করে জ্ঞান গভীরে,
স্বপ্ত স্বর্গ বিরাজ করে- বুঝবেনা অজ্ঞানী।

বই পুস্তক যতই পড়ো,
শিক্ষা সনদ পাইতে পারো- মূলের ঘরে ফাকা,
জ্ঞানী জনের সঙ্গো করো,
তবেই সন্ধান পাইতে পারো- কেমন ছবি আকা।

জগতে যে শিক্ষানীতি,
তাতে আছে যেসব গীতি- আত্ব দরশন নাই,
আত্বদর্শি শিক্ষক যিনি,
শিক্ষা দিতে পারেন তিনি- আপন মাঝে হায়।

ঘুচে যাবে সব ব্যাবধান,
মানুষের দেখবে সমান- ধর্ম নির্বিশেষে,
স্বয়ং প্রভু বিরাজ করে,
মানুষের মাঝে বিশ্বভরে- খেলছে প্রেম হরষে।

মানবতাই মহাসত্য,
দিতে হবে এই গুরুত্ব- জ্ঞান নয়নে দেখে,
জেগে উঠবে প্রেম ভক্তি,
তখন হবে মহামুক্তি- এই বিশ্বলোকে।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form