আমরা দুনিয়ায় নানা রকমের মানুষ বাস করি। কেউ আবার সাদা কালো ফর্সা। তাই আমরা কেউ কেউ বলি চেহারা ভালো নয়। কেউ কখনো বলি বেশ সুন্দর বা অনেক সুন্দরী। কিন্তু জাতের মেয়ে নাকি কালোও ভালো। আবার কেউ নাচতে কিন্তু কখনো কখনো ভালো নাচ না হলে, বলি উঠান বাকা ছিল। কেউ আবার বলে মানুষের চেহারার মধ্যে তার ভালো মন্দের রুপ প্রকাশ পায়। এমনকি চলন বলন বা কথা বার্তায়ও প্রকাশ পায়। আবার যে নাকি কঠোর পরিশ্রমী ও মিতব্যায়ী হয়, তার ভাগ্যও নাকি ভালই হয়। সেই সাথে ধৈর্যশীল ব্যাক্তির পতনও নাকি ধীরে হয়। তাই কেউ কেউ বলে সত্যের বাতি টিপ টিপ করে জ্বলে। আবার কেউ কেউ বলে আগে গেলে বাঘে খায়। তাই প্রবাদে বলে বাঘে ধরলে আঠারো ঘা। তাই কেউ খাওয়ার আগে যায় এবং কেউ বিচার সালিশের পরে যায়। কারো আবার কপালে, রাজ টিকা থাকে বলে শোনা যায়। কেউ আবার সোনার চামচ মুখে নিয়েই জন্ম গ্রহন করে। কেউ আবার রূপবতী দেখলে, তার রুপের গুনে পঞ্চমুখ হয়। আবার রুপের গুনও গাইতে হয় বলে শুনি। তাই গানে বলে, রুপ দেখে তোর হইলাম পাগল। আবার কেউ বলে শুধু রুপ দেখেই গুনি বা ভালো মানুষ বলা যাবেনা। তাই প্রবাদে বলে যাহা কিছু চক চক করে, তাহাই সোনা নহে। আবার কখনো ঝগড়া বিবাদ শুরু হলে নাকি কেউ বড় গলা করে বলে, আমরাই সঠিক। তাই লোকে বলে চোরের মার বড় গলা। আবার কেউ দেখতে খুব শান্ত সৃষ্ট। তাই অন্যজনে বলে, ভিজে বেড়াল নাকি ইঁদুর ধরতে ওস্তাদ। আবার অনেকে সকল সময় বক বক করে কিন্তু তাদের আবার সমাজ বলে বাচাল। আবার শোনা যায়, মানুষের বন্ধুদের দেখেও নাকি মাপ করা যায় লোকটি কেমন। আবার কেউ বলে করন দোষে দূষি, তাই কপাল মন্দ বা কর্ম ফল। আবার আমরা কেউ কেউ যাচ্ছি ভাগ্য গুন্তে হস্ত রেখাবিদের কাছে। সেখানে গিয়ে হাত গুনে নানা নামের পান্না, চুনি সহ নামের পাথরের আংটি পরায়ে হাতের আংগুল গুলোতে পরাচ্ছি শিকল। তাই আমরা যতো ছদ্মবেশী সাঁজই না কেন, আমাদের চেনা ও জানার জন্য নানা পথ দুনিয়াতে রয়েছে।