আমাদের সমাজে অনেক মানুষই অন্ধ। কেউ জন্মগত, আবার জন্মের পরে নানা কারনে অন্ধ হয়ে যায়। প্রকৃতই তারা অন্ধ এবং তারা কিছুই দেখতে পারে না সমাজের। কিন্তু আমরা যারা চোখ মেলে দেখি সবকিছু, নানা সময়ে নানাভাবে ভুল করে ফেলি নিজ চোখে দেখেও। তাই একে লোকে বলে- "চোখ থাকতেও অন্ধ"। চোখ দিয়ে দেখার একটা দূরত্ব আছে তার বাইরে চোখ গেলে কিন্তু দেখা যায় না। সেই দুরত্তে দেখতে হলে বায়নাকুলার লাগে। যা দিয়ে দূরের জিনিষ কাছে দেখা যায়। দুরের জিনিষ চোখের সীমাবদ্ধতার কারনে দেখতে অসুবিধা হলে কাছের জিনিষ কিন্তু দেখে শোনে বুঝে নিতে পারছি না আমরা। যেমন, আমরা বাজারে গিয়ে চকচকে জিনিষের দিকে আকৃষ্ট হয়ে কিনে ফেলি। কিন্তু ওই জিনিষটা সঠিক নয়। আবার মাছ কিনতে গিয়ে মাছের কানকো দেখে লাল আছে কিনা। কিন্তু কানকো লাল রঙ করা কিন্তু মাছটির ভিতরে পচা। আবার যাদু দেখতে দেখতে বেহুঁশ হয়ে গেছি, পকেট মার হয়ে যাচ্ছে। নজর দিচ্ছি না, নজরদারিতে। কথামালার রাজনীতির কথার মার-প্যাচে পড়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা। তাই ভুলে যাচ্ছি অতীতকে, সমস্যায় পড়ছি আগামীতে। কালা মেয়েকে পাউডার দিয়ে সাদা করে দেখানো হচ্ছে, আর আমরা করে ফেলছি পছন্দ। গন্তব্য আমার মাধবপুর উঠে পড়েছি সুহিলপুরের বাসে। পথে অপরের দেওয়া জিনিষ খেয়ে হয়ে হয়ে যাচ্ছি বেহুঁশ, মৃত্যুর পথে কিংবা হাসপাতালে অথবা সব হারিয়ে বাড়ী ফিরছি। অতীতের বিশ্বস্ত বন্ধুকে ভুলে গিয়ে চলার পথে হটাৎ পরিচিত লোকের সাথে বন্ধু পেতে খাচ্ছি ধরা। লোভে পড়ে সোনার অলংকার কিনছি সস্তা দরে, বাড়ী নিয়ে গিয়ে দেখা গেলো পিতলের অলংকার। বেচতে গিয়ে ধরা পড়ছি চিটিং মামলায়।
বসে আছি বাসের ছিটে, অন্যদিকে একজন তার বেআইনি মালামাল রেখে দিয়েছে ছিটের নিচে। আর পুলিশের হাতে ধরা খাচ্ছি, পরে হাজতবাস। তাড়া হুড়া করে বাসে ট্রেন এ উঠতে গিয়ে ফেলে যাচ্ছি নিজের মালামাল। কিংবা নিজের ব্যাগ মনে করে অন্যের ব্যাগ টান দিয়ে খাচ্ছি মার-ছিনতাইকারী হিসাবে। মোবাইলের ফোনালাপে নারী কন্ঠ শোনে প্রেমের ফাদে পড়ে ধরা খেয়ে দিচ্ছি ফ্লেক্সিলোড। গভীর রাতে মোবাইলে জীনের বাদশার ধমকের সুরে ধর্মের বানী শোনে ভয়ে বিকাশে টাকা দিচ্ছি। চমকপ্রদ ক্যানভাসে প্রলুব্ধ হয়ে কিনে ফেলেছি চামড়া সাদা করার ক্রিম। পরে দেখা গেলো, আগের তেলতেলে কালো চামড়া হয়ে গেছে খসখসে। সুদ্ধ ভাষায় কথা বলছে ভদ্রলোকটি, না জানি কতো বুদ্ধিমান গুনি ব্যাক্তি। তার মিষ্টি কথা শোনে ঠকেছি তার কাছেই। চোখের সামনেই সন্ত্রাসীরা বোমা মারছে। জিজ্ঞাসা করলে বলছি- দেখি নাই। প্রতিনিয়ত নানা ভাবে আমরা আমাদের জীবনে ঠকছি চোখ থাকতেই। তাহলে কি আমরা চোখ থাকতেই অন্ধ?
বসে আছি বাসের ছিটে, অন্যদিকে একজন তার বেআইনি মালামাল রেখে দিয়েছে ছিটের নিচে। আর পুলিশের হাতে ধরা খাচ্ছি, পরে হাজতবাস। তাড়া হুড়া করে বাসে ট্রেন এ উঠতে গিয়ে ফেলে যাচ্ছি নিজের মালামাল। কিংবা নিজের ব্যাগ মনে করে অন্যের ব্যাগ টান দিয়ে খাচ্ছি মার-ছিনতাইকারী হিসাবে। মোবাইলের ফোনালাপে নারী কন্ঠ শোনে প্রেমের ফাদে পড়ে ধরা খেয়ে দিচ্ছি ফ্লেক্সিলোড। গভীর রাতে মোবাইলে জীনের বাদশার ধমকের সুরে ধর্মের বানী শোনে ভয়ে বিকাশে টাকা দিচ্ছি। চমকপ্রদ ক্যানভাসে প্রলুব্ধ হয়ে কিনে ফেলেছি চামড়া সাদা করার ক্রিম। পরে দেখা গেলো, আগের তেলতেলে কালো চামড়া হয়ে গেছে খসখসে। সুদ্ধ ভাষায় কথা বলছে ভদ্রলোকটি, না জানি কতো বুদ্ধিমান গুনি ব্যাক্তি। তার মিষ্টি কথা শোনে ঠকেছি তার কাছেই। চোখের সামনেই সন্ত্রাসীরা বোমা মারছে। জিজ্ঞাসা করলে বলছি- দেখি নাই। প্রতিনিয়ত নানা ভাবে আমরা আমাদের জীবনে ঠকছি চোখ থাকতেই। তাহলে কি আমরা চোখ থাকতেই অন্ধ?