এক গ্রামের নদীর ধারে একটি ঘর ছিল যার নাম ছিল "আয়না ঘর"। সেই গ্রামে সুন্দর হাসি মাখা একটি ছোট্ট মেয়ে ছিল।মেয়েটি একদিন তার বাবা মায়ের মুখে শুনতে পায়, তাদের গ্রামের "আয়না ঘর" এর কথা। এর আগে মেয়েটি কোন দিন ঘর থেকে বের হয়নি। সে প্রকৃতি দেখেনি, দেখেনি কোনও বাস্তবতা। সে একদিন সিদ্ধান্ত নিলো সে ঐ আয়নার ঘর দেখতে যাবে। কিন্তু একা একা যেতে সাহস হচ্ছে না। সে তার সমবয়সী বান্ধবীকে সাথে নিয়ে গেলো। আয়নার ঘরের সামনে হাজির হয়ে মেয়েটি ভাবলো, যে আগে ঐ ঘরে ঢুকবে আর সব কিছু দেখে এসে বাইরে এলে তবেই বান্ধবী ঢুকবে।
কথা মতো মেয়েটি ঐ ঘরের ভেতর ঢুকলো। ঘরে ঢোকার সাথে সাথে আশ্চর্য সব রঙ্গিন কারুকাজ দেখে মেয়েটির মন আনন্দে ভরে উঠলো। সে আস্তে আস্তে এগোতে এগোতে সেই আয়নার ঘরে প্রবেশ করলো। ঘরে ঢুকেই তার চোখ ছানাবড়া। মেয়েটি দেখলো, সেখানে ঠিক তারই মতো দেখতে আরও এক মেয়ে হাস্যোজ্জল মুখে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সে যা করছে এখানে ঠিক তাই তাই করছে। মেয়েটি সব দেখে অনেক মজা পেয়ে বাইরে চলে এল এবং তার বান্ধবীকে সব খুলে বলল- এমন সুন্দর জায়গা আমি আগে কখনো দেখেনি। সুযোগ পেলেই আবার আমি এই জায়গায় চলে আসবো।
এবারে তার বান্ধবী কিছুটা ভয় ভয় মনে ঘরের ভেতরে ঢুকলো। ঘুরতে ঘুরতে আতংকিত মনে সেও এবারে সেই আয়নার ঘরে প্রবেশ করলো। ভয়ে মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেলো, আতঙ্কিত হয়ে উঠলো চোখ। সে খেয়াল করলো ঠিক তারই মতো দেখতে আরেক এক মেয়ে আতঙ্কিত আর ভয়ার্ত চোখ তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। মেয়েটি ভয়ে দুই হাত তুলে বলছে- তোমরা কারা? সাথে সাথে আয়নার মেয়েও দুই হাত তুলে তার দিকে নজর দিচ্ছে। মেয়েটি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এল এবং সে মেয়েটিকে বলল- তারাতাড়ি বাড়ি চল, এটা খুব খারাপ জায়গা। আমি আর কোনদিন এই জায়গায় আসব না।
জীবন একটা আয়না স্বরূপ। আপনি যেভাবে জীবনকে দেখবেন, সেও ঠিক সে ভাবেই আপনার কাছে ধরা দিবে। যারা সাহসিকতা, ভালোবাসা, উৎসাহ, জয় করার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়, জীবন তাদের কাছে অনেক সহজ ও আনন্দ ময় হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু যারা, হতাশা, ভয়, মানসিক অবসাদ নিয়ে সামনে এগুতে চায়, তাদের চোখে সাফল্য যেন মরীচিকা। জীবন হয়ে উঠে ক্লান্তিকর, বিষণ্ণময়। বাস্তবতাকে আপনি যেভাবে দেখবেন, আপনার সামনে তা সেভাবেই ধরা দিবে।
কথা মতো মেয়েটি ঐ ঘরের ভেতর ঢুকলো। ঘরে ঢোকার সাথে সাথে আশ্চর্য সব রঙ্গিন কারুকাজ দেখে মেয়েটির মন আনন্দে ভরে উঠলো। সে আস্তে আস্তে এগোতে এগোতে সেই আয়নার ঘরে প্রবেশ করলো। ঘরে ঢুকেই তার চোখ ছানাবড়া। মেয়েটি দেখলো, সেখানে ঠিক তারই মতো দেখতে আরও এক মেয়ে হাস্যোজ্জল মুখে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সে যা করছে এখানে ঠিক তাই তাই করছে। মেয়েটি সব দেখে অনেক মজা পেয়ে বাইরে চলে এল এবং তার বান্ধবীকে সব খুলে বলল- এমন সুন্দর জায়গা আমি আগে কখনো দেখেনি। সুযোগ পেলেই আবার আমি এই জায়গায় চলে আসবো।
এবারে তার বান্ধবী কিছুটা ভয় ভয় মনে ঘরের ভেতরে ঢুকলো। ঘুরতে ঘুরতে আতংকিত মনে সেও এবারে সেই আয়নার ঘরে প্রবেশ করলো। ভয়ে মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেলো, আতঙ্কিত হয়ে উঠলো চোখ। সে খেয়াল করলো ঠিক তারই মতো দেখতে আরেক এক মেয়ে আতঙ্কিত আর ভয়ার্ত চোখ তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। মেয়েটি ভয়ে দুই হাত তুলে বলছে- তোমরা কারা? সাথে সাথে আয়নার মেয়েও দুই হাত তুলে তার দিকে নজর দিচ্ছে। মেয়েটি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এল এবং সে মেয়েটিকে বলল- তারাতাড়ি বাড়ি চল, এটা খুব খারাপ জায়গা। আমি আর কোনদিন এই জায়গায় আসব না।
জীবন একটা আয়না স্বরূপ। আপনি যেভাবে জীবনকে দেখবেন, সেও ঠিক সে ভাবেই আপনার কাছে ধরা দিবে। যারা সাহসিকতা, ভালোবাসা, উৎসাহ, জয় করার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়, জীবন তাদের কাছে অনেক সহজ ও আনন্দ ময় হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু যারা, হতাশা, ভয়, মানসিক অবসাদ নিয়ে সামনে এগুতে চায়, তাদের চোখে সাফল্য যেন মরীচিকা। জীবন হয়ে উঠে ক্লান্তিকর, বিষণ্ণময়। বাস্তবতাকে আপনি যেভাবে দেখবেন, আপনার সামনে তা সেভাবেই ধরা দিবে।
Tags
গল্প