সত্য মিথ্যা,দুটি শব্দই দুই অক্ষরের। কিন্তু দুই শব্দের মাঝে ব্যবধান রাত দিনের, আলো আঁধারের। সত্য আলো, মিথ্যা অন্ধকার। সত্য জান্নাতের পথ, মিথ্যা জাহান্নামের পথ। সত্য পূণ্যের পথ দেখায়, মিথ্যা পাপের পথে নিয়ে যায়। সত্যকে সবাই ভালবাসে, মিথ্যাকে ঘৃণা করে। সত্যবাদী সবার প্রিয়, মিথ্যাবাদীকে কেউ দেখতে পারে না। এমনকি মিথ্যাবাদী যদি বাস্তবেও সত্য বলে তবুও বিশ্বাস করে না। কারণ আগের মিথ্যার কারণে সে বিশ্বাস হারিয়েছে। মিথ্যার মাধ্যমে মানুষ নিজেকে বাঁচানোর মিছে চেষ্টা করে। কিন্তু আরো ফাঁদে পড়ে। একটি মিথ্যা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি মিথ্যা বলে, তবুও বাঁচতে পারে না। বরং মিথ্যার ফাঁদে আরো জড়িয়ে যায়। এক পর্যায়ে নিজের মিথ্যার উপর নিজেরই আক্ষেপ হয়। কেন মিথ্যা বলতে গেলাম, সত্য বললে তো এত বিপদ হতো না।মিথ্যা হল কাপুরুষতা আর সত্য হল সৎসাহস। যে সৎসাহস দেখিয়ে সত্য বলে দেয়। বর্তমানের অন্যায়ের কারণে হয়ত তাকে সাময়িক শাস্তি বা ঘৃণার সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু পরবর্তীতে সত্য বলার সৎসাহসের কারণে সে প্রসংসিত হয়। আর বিশ্বাসের যে সম্পদ সে লাভ করে তার কাছে হাজারও শাস্তি বা ঘৃণা তুচ্ছ। আর যে মিথ্যাবাদী হিসেবে পরিচিতি পায়, সে দশবার কসম করে একটি সত্য কথা বললেও মানুষ ভাবে সে মিথ্যা বলছে। সত্য স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর মিথ্যা, বিভ্রান্ত আর অসত্য ব্যতীত কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। সত্যের রূপ বা স্বরূপ এক। আর মিথ্যার থাকতে পারে বহু রূপ। সৃষ্টি জগতে একই সঙ্গে কখনই দুটি পৃথক সত্য থাকতে পারে না। আমি যদি সত্য হই, আর অন্য যদি আমার সঙ্গে মিশে না যায় বা এক মত পোষণ না করে। তবে অন্য সব মিথ্যা। আর অন্য যদি সত্য হয়, আর আমি যদি অন্যের সঙ্গে মিশে না যাই, তবে আমি মিথ্যা। সত্য মিথ্যার দুটি পথ সব সময় সমান্তরাল। কালের বিবর্তনেও সমান্তরাল। কিছু ক্ষেত্রে মাঝে-মাঝে আশঙ্কায় থাকতে হয়। এই দুটি সমান্তরাল পথ একই সঙ্গে মিশে যায় কিনা, তবে আশঙ্কটা অবার্চীনের, সুস্থতার নয়, এটা বুঝি। তার পরেও আশঙ্কা কেন? আমরা জানি, দুই যোগ দুই সমান চার। কিন্তু কেউ যদি বলে, দুই যোগ দুই সমান তিন। বা বলে, দুই যোগ সমান পাঁচ। তবে? তবে কি দুটোই সত্য? আমরা সবাই বলবো না এটা সত্য নয়। তবুও কেনো যেনো কালের বিবর্তনে তা আজ সত্যে রূপ নিয়েছে।
সত্যকে সামনে রেখে যদি আমরা পথ খুজি, তবে সত্য পাওয়া অনিবার্য। যদিও সত্য পথ বড়ই পিচ্ছিল এবং কন্টকার্কীণ, বন্ধুর প্রকৃতির। সত্যে মোড়ানো মিথ্যার রাজত্ব বড়ই মনোরম এবং সহজ। তবে তার অস্তিত্বের স্থায়ীত্বতাও দুর্বল। কারণ সত্য যখন মিথ্যার সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন মিথ্যা বিতাড়িত হয়। আর মিথ্যা তার প্রকৃতগত কারণে বিতাড়িত হবার। মানুষ একই সঙ্গে সত্যটা বলে এবং সত্য কাজ করে। আবার মিথ্যা বলে এবং সেটাও করে। তাই মানুষের বিবেক কখনই মানদণ্ড হতে পারে না। মানুষকে সত্য খুঁজতে হবে এবং পাওয়ার পর সত্যের আনুগত্য করতে হবে। মানুষকে ভালো-মন্দের সত্যায়ন করবে সত্য। মিথ্যার উপর ভর করে সত্যকে খুঁজা অন্ধানুকরণ মাত্র। আমার দেহটা আমার, আমার জীবনটা আমার, আমার সম্পদ আমার। এ কথা বলতে পারা, ভোগ করতে পারা এবং অন্যের হস্তক্ষেপ ছাড়া ভোগ করতে পারা, এটাই সত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া। এর বিপরীত মিথ্যা। আমার উপর কেউ জুলুম করছে, ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবে। এর বিপরীতে কথা বলা এবং এর পূর্ণাঙ্গ অধিকার পাওয়াই সত্য। এর বিপরীত মিথ্যা। নিজ র্ধম নিয়ে কথা বলা প্রচার ও প্রসার করা, সত্য ছড়িয়ে দেয়াই সত্য। এর বিপরীত মিথ্যা। আমি আমার বন্ধুকে দিয়েছি এবং দান করেছি এটা সত্য। আর যদি দেয়াটা আমার নিজ সম্পদ না হয়? তবে উক্ত দেয়াটাও মিথ্যা। আর যদি এই মিথ্যা দেয়াটা সত্য রূপান্তরের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দেখা যায়। তবে মিথ্যার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ পাওয়ার নামান্তর। সত্য আজ কোথাও নেই প্রতিষ্ঠিত। আজ যে সত্যটাকে দেখছি তা একান্তই মিথ্যার খেলসে প্রতিষ্ঠিত।
সত্যকে সামনে রেখে যদি আমরা পথ খুজি, তবে সত্য পাওয়া অনিবার্য। যদিও সত্য পথ বড়ই পিচ্ছিল এবং কন্টকার্কীণ, বন্ধুর প্রকৃতির। সত্যে মোড়ানো মিথ্যার রাজত্ব বড়ই মনোরম এবং সহজ। তবে তার অস্তিত্বের স্থায়ীত্বতাও দুর্বল। কারণ সত্য যখন মিথ্যার সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন মিথ্যা বিতাড়িত হয়। আর মিথ্যা তার প্রকৃতগত কারণে বিতাড়িত হবার। মানুষ একই সঙ্গে সত্যটা বলে এবং সত্য কাজ করে। আবার মিথ্যা বলে এবং সেটাও করে। তাই মানুষের বিবেক কখনই মানদণ্ড হতে পারে না। মানুষকে সত্য খুঁজতে হবে এবং পাওয়ার পর সত্যের আনুগত্য করতে হবে। মানুষকে ভালো-মন্দের সত্যায়ন করবে সত্য। মিথ্যার উপর ভর করে সত্যকে খুঁজা অন্ধানুকরণ মাত্র। আমার দেহটা আমার, আমার জীবনটা আমার, আমার সম্পদ আমার। এ কথা বলতে পারা, ভোগ করতে পারা এবং অন্যের হস্তক্ষেপ ছাড়া ভোগ করতে পারা, এটাই সত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া। এর বিপরীত মিথ্যা। আমার উপর কেউ জুলুম করছে, ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবে। এর বিপরীতে কথা বলা এবং এর পূর্ণাঙ্গ অধিকার পাওয়াই সত্য। এর বিপরীত মিথ্যা। নিজ র্ধম নিয়ে কথা বলা প্রচার ও প্রসার করা, সত্য ছড়িয়ে দেয়াই সত্য। এর বিপরীত মিথ্যা। আমি আমার বন্ধুকে দিয়েছি এবং দান করেছি এটা সত্য। আর যদি দেয়াটা আমার নিজ সম্পদ না হয়? তবে উক্ত দেয়াটাও মিথ্যা। আর যদি এই মিথ্যা দেয়াটা সত্য রূপান্তরের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দেখা যায়। তবে মিথ্যার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ পাওয়ার নামান্তর। সত্য আজ কোথাও নেই প্রতিষ্ঠিত। আজ যে সত্যটাকে দেখছি তা একান্তই মিথ্যার খেলসে প্রতিষ্ঠিত।