লেবাস ও ছুরতের অন্তরালে শয়তানি কার্যক্রম কেন?

আমরা সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান প্রায় ৯০% পাঞ্জাবী, টুপি, দাড়ি তথা লেবাস ও ছুরতের প্রতি দূর্বল তথা বিশ্বাস প্রবণ৷ অামরা যখন দেখি কোন ব্যক্তির মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি, জুব্বা পরিহিত তখন আমরা মনে মনে কল্পণা করে ফেলি লোকটি ভাল হবে, কেননা তিনি ইসলামী লেবাস ও ছুরত ওয়ালা। হয়ত আল্লাহর দেওয়া বিধি-বিধান ঠিক মত মেনে চলেন৷ আমরা এমনও কল্পণা করে থাকি, লোকটি ভাল খোদা ভীরু। সে আমাকে ঠকাবে না। আমি নিজের কথাই বলছি আমি সাধারণত কিছু কেনার ক্ষেত্রে টুপি পরিহিত /দাড়ি ওয়ালাদের কাছ থেকে কেনার চেষ্টা করি। আর ভাবি লোকটা হয়ত আমাকে ঠকাবে না, যেহেতু তিনি নামাজ-রোজা করেন, তার শরীরে সুন্নত আছে৷ যদি টুপি পরিহিত মুখে দাড়ি ওয়ালাদের কাছ থেকে কিছু ক্রয় করে ঠকে যায়, খারাপ/ভেজাল জিনিস দেন। ঠিক তখন-ই আমরা ধারণা করে-ই ফেলি "শালার বেয়াদব হুজুর" মুখে দাড়ি রেখে গায়ে পাঞ্জাবী পরেও আমাকে ঠকালো। যদি একজন সাধারণ মানুষ হতে পারে সে মুসলিম, হিন্দু, অন্য ধর্মের লোক। আপনাকে কথা দিয়ে কথা রাখে। তার থেকে কিছু ক্রয় করলে আমাদের ঠকায় না, অথবা তার কথার সে খেলাপ করে না৷ তাহলে এই সাধারণ লোক সম্পর্কে আমার/আপনাদের ধারণা নিশ্চয় এমন হবে, লোকটি যা-ই থাকুক অন্তঃত ঐ দাড়ি, টুপি ওয়ালা লেবাস ও ছুরত ধারী মুসলিমের মত না৷ ঐ রকম ঘটনা অহঃরহ মানুষের সাথে দৈনন্দিন ঘটছে আর ঐ সকল লেবাসধারী মুসলিমদের জন্য-ই দিন দিন ইসলামের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। আসলে ইসলামের পোশাক/ছুরত সকল লোকের কাছে সাদা কাপড়ের মত। সাদা কাপড়ে যেমন কোন দাগ লাগলে সেটি অনেক দূর থেকে থেকে যায়, ঠিক তেমনি ইসলামী লোক/নবীর সুন্নাত লালন করা লোকের কাছ থেকে প্রতারিত হলে সাধারণ মানুষের মনে "দাগ" লেগে যায়। তখন কিছু মানুষের জন্য, অন্য মুসলিমদের প্রতিও এক রকম অবিশ্বাস সৃৃষ্টি হয়।
লেবাস ও ছুরতের অন্তরালে শয়তানি কার্যক্রম কেন? the-devil | আমির হোসেন
লেখাটা পড়ে অনেকে হয়ত মনে করতে পারেন, লেখক কত বড় বেয়াদব "ইসলামের লেবাস ও ছুরতকে বঙ্গ" করে লেখালেখি করে। যদি আমার সম্পর্কে এমন ধারণা করেন, সেটি হবে শুধুমাত্র ভুল ধারণা৷ আমি এই পোষ্টটি লিখেছি নামধারী ও ছুরত ধারী মুসলিমদের সংশোধনের লক্ষ্যে-ই৷ আমাদের মনে রাখতে হবে, যদি আমরা সর্বক্ষেত্রে মুসমানিত্ব যাঁচাই করি লেবাস ও ছুরত দিয়ে তবে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ভুল হবে এবং আমরা অনেকটা ঠকে যাবো। কিছু লেবাসধারী ও ছুরতধারী মুসলিম আছেন যাঁরা নিজে "নবীর সুন্নাত ও লেবাস ধারণ" করে নিজেদের অনেক বড় কিছু মনে করেন। কিছু হলে বলে থাকেন "ঐ মিয়া তোর মুখে দাড়ি কৈ"? তুই ইসলামের কি বুঝিস? কিছু ক্ষেত্রে অনেক নামধারী মুসলিম আছে, যাঁরা নবীর সুন্নাত/দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবী ইত্যাদি সহ্য-ই করতে পারেন না। এই শ্রেণীর লোক ছুরত ও লেবাসধারী থেকেও জঘণ্য। আমরা কেউ যদি নিজেদের ঈমানী দূর্বলতার কারণে নিজেরা সুন্নাতি পোশাক ভাল ভাবে /সম্পূর্ণ রুপে না মানতে পারি সেটার জন্য আমি নিজেরা তো ক্ষতি গ্রস্ত হবো। আমাদের যে সব মুসলমান ভাইগণ ইসলামী পোশাক ও ছুরতকে নিজেদের ফায়দার জন্য লালন করে। অন্যদের কাছে নিজের পোশাক ও ছুরতের জন্য ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন নষ্ট করছেন, অনুগ্রহ পূর্বক আপনারা নিজেরা সংশোধন হয়ে যান। নিজের ব্যবসার সুবিধার জন্য ইসলাম কে কলংকিত করিবেন না৷ কিছু লোকের জন্য সাধারণ জনগণ ইসলাম থেকে দূরে সরে যাক সেটি আমি চাই না৷ লোক দেখানো মুসলিমকে আল্লাহ হেদায়েত দান করবেন সেই প্রত্যাশা ও এই সব মানুষরূপী খান্নাস থেকে সর্বদা আল্লাহর নিকট পানাহ চাই।

Admin

Amir hossain is a social article writer. he likes to share knowledge and Interested research content of biodiversity, climate, travel, photography

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form