আমরা মানুষ হতে চাই

এ পৃথিবীতে সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ হয়ে জন্মেছি। ভুল-ত্রুটি নিয়েই আমাদের জীবন নামের পথ চলা। ভালো-মন্দ মিলিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা। যারা সচেতন, বিবেকবান, নৈতিকতাসম্পন্ন, চারিত্র্যিক সৌন্দর্যে বলিয়ান তাঁদের কাছে একান্ত মিনতি আমরা মানুষ হতে চাই। যারা ভালো, আদর্শবান, শ্রেষ্ঠ মানুষ তাদের জীবনের সৌন্দর্যের আলোতেই আলোকিত হয় পরিবার, সমাজ, জাতি, রাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্ব। তারা সমাজ, জাতি, রাষ্ট্রের মণিমুক্তাতুল্য অমূল্য রতন, যারা হবে সকলের জন্য অনুকরণীয়, অনুসরণীয়, মডেল বা আদর্শ। মানুষ শব্দটি ‘মনুষ্য’ শব্দের অপভ্রংশ হিসেবে এসেছে। ইংরেজি Man, জার্মান Mann ও Mensch, আবেস্তান Manu ইত্যাদি সব শব্দ একই উৎসসম্ভূত। মানুষের নানা রূপ। মানুষ যখন অনুভূতিশীল তখন মানুষের বিপরীত শব্দ অমানুষ, মানুষ যখন মানব জাতি তখন বিপরীত শব্দ মনুষ্যেতর, মানুষ যখন পরিণত বা প্রাপ্তবয়স্ক তখন বিপরীত শব্দ ছেলেমানুষ। মানুষ শব্দের ক্রিয়াপদ ‘‘মানুষ করা’’। মানুষ করা অর্থে- লালন পালন করা ও উপযুক্ত শিক্ষা দান করা। মানুষ শব্দের দ্বিতীয় ক্রিয়াপদ ‘‘মানুষ হওয়া’’। মানুষ হওয়া মানে সত্য বলা, কারো ক্ষতি না করা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, আপদে-বিপদে অন্যকে সাহায্য করা, সদাচরণ করা ইত্যাদি। এই জগতের সকলে যদি প্রকৃত মানুষ হতো তাহলে পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ, ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মানব জাতি এক শান্তির সমাজে বসবাস করতো। আইন, আদালত, বিচার, সালিশ, থানা, পুলিশ কোন কিছুর প্রয়োজন হতো না। কারো অভাব-অভিযোগ থাকতো না। আনন্দ, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরে যেত গোটা সমাজ। ভালো-মন্দের ধারণা অনেকটা আপেক্ষিক, আমার কাছে যা ভালো, অন্যজনের কাছে তা ভালো নাও হতে পারে। আমার কাছে যা মন্দ তা আরেকজনের কাছে মন্দ নাও হতে পারে। তারপরও নৈতিকতার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য একটা সংজ্ঞা আছে। ভালো মানুষের সংজ্ঞায় বলা যায়, নিজের বিবেককে কাজে লাগিয়ে যে ব্যক্তি বা সত্তা তার নৈতিক দায়িত্ব-কর্তব্যগুলো যথাযথভাবে পালন করেন, চরিত্রের ভালো উপাদানগুলো গ্রহণ ও মন্দ উপাদানগুলো বর্জন করেন তিনিই প্রকৃত বা ভালো মানুষ।

আমরা মানুষ হতে চাইমরা মানুষ কেন হতে চাই? এজন্য যে, আমি ভালো হলে আমার এ ভালো হওয়ার সুফল শুধু আমি একাই উপভোগ করবো না, করবে আমাকে ঘিরে চারপাশে যারা আছে তারা সবাই। আমার মহান চরিত্রে সন্তানেরা, সন্তানের ভালো হওয়াতে মাতা-পিতা, উত্তম স্বামীর আচরণে স্ত্রী, সচ্চরিত্রবান, সতী ও পতিভক্ত নারীর মায়াবী ব্যবহারে তার স্বামী, মহীয়ান মানুষগুলোর ভ্রাতৃত্বের আচরণে তার প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, সমাজ এবং নিঃস্বার্থ সমাজ সেবক ও রাষ্ট্রশাসকদের ন্যায়পরায়ণতা, সততায় শাসিত জনতা এক অনাবিল সুখরাজ্যে জীবনাতিবাহিত করবে। যা ভালো হওয়া ছাড়া এবং ভালো মানুষ ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। স্বপ্নের সে ভালো মানুষগুলো আজ কোথায়? তারা হলেন, আপনি, আমি, সে, তারা। ভালো মানুষ হওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন? তার জন্য একটি টাকারও দরকার হয় না। আমার অন্তরের সুপ্ত ইচ্ছাশক্তি, দৃঢ়চেতা মনোবলই পারে আমাকে ভালো মানুষ বানাতে। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ভালো মানুষ তিনিই- যিনি কুরআন-হাদিসে ঘোষিত আল্লাহ প্রদত্ত আদেশাবলি পালন এবং নিষেধাবলিকে পরিত্যাগ করে একনিষ্ঠভাবে নৈতিক দায়-দায়িত্বগুলো পরিপূর্ণভাবে পালন করেন। কুরআন ও হাদিসের আলোকে উল্লেখযোগ্য কবিরা গুনাহ হলো- শিরক, হত্যা, যাদু, নামাজ ত্যাগ, জাকাত অনাদায়, বিনা কারণে রোজা ভংগ করা, সামর্থ্য থাকা সত্তে¦ও হজ্ব না করা, আত্মহত্যা, পিতা-মাতার অবাধ্যতা, ব্যভিচার, সমকামিতা, সুদের লেনদেন, ইয়াতীমদের সম্পদ আত্মসাৎ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা, অহংকার, মিথ্যা সাক্ষ্যদান, মদপান, জুয়া, সতী নারীর বিরুদ্ধে অপবাদ, চুরি, ডাকাতি, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর মিথ্যারোপ, মিথ্যা শপথ, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা কথা, ঘুষ খাওয়া, অশ্লীলতা, খিয়ানত করা, চোগলখুরী করা, গালি দেয়া, ওয়াদা ভংগ করা, অহংকার, প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া, ওজনে কম দেয়া, ধোকাবাজি, কৃপণতা, বিচারে দুর্নীতি করা ইত্যাদি। ভালো মানুষ কবিরা ও সগিরা গুনাহ থেকে মুক্ত হবেন।

মানুষ হওয়া অসাধ্য বা কঠিন কোন কাজ নয়। ভালো হতে প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে একটি দৃঢ় প্রত্যয়ের। যেসকল গুণে গুণান্বিত হলে ভালো মানুষ হিসেবে নিজকে উপস্থাপন করা যায় এরমধ্যে অন্যতম হলো- সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সত্যবাদিতা, প্রতিজ্ঞা বা ওয়াদা পূরণ, আমানতদারিতা, দয়া, ক্ষমা বা মার্জনা করা, বিনয়-নম্রতা, ভদ্রতা, ভালোবাসা, লজ্জাশীলতা, সদুপদেশ, ধৈর্য, সহযোগিতা, সমবেদনাবোধ, সহনশীলতা, পরোপকারিতা, চারিত্র্যিক স্বচ্ছতা, আল্লাহভীতি, আত্মত্যাগ, অন্যের দোষ গোপন রাখা, মহানুভবতা, সুধারণা পোষণ করা, নিষ্ঠা,ছোট ও বড়দেরকে শ্রদ্ধা, ভালো কাজের আদেশ, মন্দ কাজের নিষেধ, অপরের কল্যাণ কামনা, আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ইত্যাদি। নিজকে ভালো মানুষ হতে হলে যেসকল বর্জনীয় ত্রুটি থেকে নিজকে মুক্ত রাখা দরকার তারমধ্যে প্রধানতম হলো- মিথ্যা বলা, গর্ব-অহংকার, হিংসা-বিদ্বেষ, গীবত-পরনিন্দা, অপরাধ, অশ্লীলতা, কুধারণা, কৃপণতা, ঘৃণা, মাদকাসক্তি, বিশ্বাসঘাতকতা, লোভ-লালসা, জুলুম-নির্যাতন, সীমালঙ্ঘন, সন্ত্রাস, গুপ্তচরবৃত্তি, কাপুরুষতা, প্রতারণা, ধোকা দেয়া, মিথ্যা অপবাদ দেয়া, গালাগালি, মুনাফেকী করা, অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে হরণ করা, প্রতিশোধ প্রবণতা ইত্যাদি।

জীবন চলার পথে বিচিত্র চরিত্রের বহু মানুষের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে পথ চলতে হয়। এ মানুষগুলোর মধ্যে নিজ পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী, সহকর্মী এ ধরনের নিকটজনের সংখ্যাই বেশি। তাদের সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে পারাও একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। কারণ, হাতের পাঁচ আঙ্গুল বা পিতা-মাতার সকল সন্তান যেমন সমান হয় না তেমনি এ আপনজনরাও এক একজন এক এক স্বভাব-চরিত্র-মেজাজের। কেউ বদমেজাজী, কেউ নরম স্বভাবের, কেউ বেশি কথা বলে, কেউ কম কথা বলে, কেউ স্বার্থপর, কেউ উদার প্রকৃতির, কেউ কৃপণ, কেউ দানশীল, কেউ অহংকারী, কেউ বিনয়ী। এ বিচিত্র স্বভাবের মানুষগুলোর সাথে নিজকে মানিয়ে চলা সহজ ব্যাপার নয়। এর জন্য প্রয়োজন, সবার আগে নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। অর্জনীয় গুণাবলির গুণে নিজেকে গুণান্বিত করা এবং বর্জনীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে নিজেকে রক্ষণাবেক্ষণ করাই হলো ভালো মানুষ হওয়ায় মূল উপায়। ভালো মানুষ হতে হলে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, সদিচ্ছা থাকাটা আবশ্যকীয়। এছাড়াও সত্য কথা বলা, পরোপকার করা, ক্ষমা করা, হিংসা-বিদ্বেষ-লোভ ত্যাগ করা, অন্যের হকসমূহ আদায় করা, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, বাজে/ খারাপ অভ্যাসসমূহ পরিত্যাগ করা, সাদামাঠা জীবনযাপন করা, ভালো কাজ করা, ইতিবাচক মনোভাব থাকা, নিজের ভুলের স্বীকৃতি দেয়াসহ মহান সৃষ্টিকর্তার আদেশাবলি মেনে চলা ও নিষেধাবলি পরিত্যাগ করার মাধ্যমে ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে।

আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা নিজ থেকেই সচেতন ও কর্তব্যনিষ্ঠ। কোন কাজ সমাপ্ত করার জন্য এ সকল মানুষেরা অনুপ্রেরণা বা তাগিদের অপোয় থাকে না বরং স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের আগ্রহেই এগিয়ে যায়। তারা দায়িত্ব নিতে যেমন পিছপা হয় না তেমন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রেও কোন অলসতা প্রদর্শন করে না। সমাজের এসকল সচেতন ব্যক্তিবর্গের বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে অন্যতম হলোঃ-

১. দায়িত্ববান- সচেতন বা কর্তব্যনিষ্ঠ ব্যক্তি কোন দায়িত্ব নিতে ভয় পান না, তেমনি দায়িত্ব পালনে কোন গড়িমসির আশ্রয় নেন না।

২. সময় সচেতন- কর্তব্যনিষ্ঠ ব্যক্তি সময়ের ব্যাপারে হবেন একশভাগ সচেতন। সময়কে তিনি কাজে লাগাবেন যথাযথ ভাবে। তার নিজের কর্মস্থলের সময় যেমন তিনি মেনে চলবেন, তেমন অন্যদের কাছ থেকেও তা প্রত্যাশা করবেন।

৩. আবেগ নিয়ন্ত্রণকারী- তিনি নিজের আবেগের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সম হবেন। তাদের জানা থাকবে ইতিবাচক আবেগের সুফল এবং নেতিবাচক আবেগের কুফল।

৪. কোন অজুহাত নয়- কর্মনিষ্ঠ ব্যক্তি সকল কাজের ক্ষেত্রে অজুহাতকে এড়িয়ে চলে। নিজের ভুলে কোন কাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে তার দায় নিতে দ্বিধা করেন না।

৫. সহযোগিতাপূর্ণ- তারা হবেন পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ। কাজের ক্ষেত্রে অন্যের কোন সমস্যায় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন।

৬. আত্মপ্রত্যয়ী- তিনি হবেন আত্মপ্রত্যয়ী।  সবাইকে সাথে নিয়ে কঠিন কার্যের সমাধানে হবেন দৃঢ় মনোবলের অধিকারী।

৭. সময়ের কাজ সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সচেতন ভালো মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৮. একজন সমাজ সচেতন মানুষ সদা সর্বদা সত্য কথা বলবেন, মিথ্যাকে পরিত্যাগ করবেন। নিজ নিজ ধর্মের অনুশাসন বা বিধি-বিধানগুলো পরিপূর্ণভাবে মেনে চলবেন।

৯. নিজের মাতা-পিতা, ভাই-বোন, স্ত্রী-পুত্র-কন্যা, আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন, সমাজ, দেশ, দেশের মাটি, মানুষকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসবেন।

১০. একজন সচেতন ব্যক্তি সর্বদা পরোপকারী হবেন। নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে অন্যকে উপকার করার মানসিকতা লালন করবেন।

সুখী-সমৃদ্ধশালী অনাবিল শান্তির সমাজ গড়তে হলে ভালো মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য অপরিসীম। একজন ভালো মানুষই পারে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে। তার যথার্থ ভূমিকায় গোটা সমাজ পরিবর্তন হতে বাধ্য। তিনি সুন্দর সমাজ গঠনে ভালো কাজের বা সৎ কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ করতে নিষেধ করবেন। তিনি যাবতীয় ভালো কাজের আদেশ করা ও মন্দ কাজে বাধা প্রদান করে সমাজ থেকে সব ধরনের অন্যায় কাজ দূরীভূত করে ভালো কার্যাবলি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তি, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন। মানব সমাজে ভালো কাজের আদেশ ও খারাপ কাজের নিষেধ এর যথাযথ প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।

মানুষ হতে হলে আমাদের শরীর বা দেহের উপর বিবেকের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের শরীরটা আসলে মানুষ নয়। এটা অন্য সব পশুর মতোই একটা পশু। পশু ভালো-মন্দ বোঝে না। ঠিক তেমনি শরীরও ভালো-মন্দের মধ্যে কোন পার্থক্য নির্ণয় করতে জানে না। যে মানুষটি ভালো-মন্দ নির্ণয় করে সে কিন্তু শরীর বা দেহ নয়। আমরা এটাকে বিবেক বলে থাকি। ভালো কাজ করলে বিবেকের কাছে ভালো লাগে, মন্দ কাজ করলে বিবেক দংশন করে। মানুষের মধ্যে বিবেক রয়েছে, পশুর বিবেক নেই। যে মানুষ বিবেকের প্রয়োজনে দেহের দাবিকে অগ্রাহ্য করার সামর্থ্য রাখে সে প্রকৃত বা ভালো মানুষ। আর কোন বিচার বিবেচনা না করে দেহ যা চায় তা-ই যে দিতে বাধ্য হয় সে মানুষ নয়, পশু। ছোটবেলা থেকে আমাদের মা-বাবা, শিক্ষকগণ কতো চেষ্টাই না করেছেন আমাদেরকে ভালো মানুষ বানাতে। মক্তব, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে এমনকি উচ্চশিক্ষা নিতে বিদেশ পর্যন্ত পাঠিয়েছে মানুষ হওয়ার সর্বোচ্চ শিক্ষা নিতে। আজ আমাদের নিজেদের বিবেকের আদালতে প্রশ্ন, আমরা কি মানুষের মতো মানুষ হতে পেরেছি? মানুষ হওয়ার চেষ্টা আমরা করেছি বটে। মানুষ হওয়ার প্রয়াসে আমরা বুঝেছি- ভালো মানুষ হওয়া খুবই কষ্টের। ভালো মানুষ হওয়া যদিও খুবই কষ্টের অমানুষ হওয়া মানুষ হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি কষ্টের ও লাঞ্ছনার। আমরা ভালো মানুষ হতে চাই। কতো মানুষ কতো ভাবেই না চেষ্টা করবে আমাকে ভালো মানুষ বানাতে, কিন্তু কেউ আমাকে মানুষের মতো মানুষ বানাতে পারবে না, যতক্ষণ না আমার নিজের প্রয়াস থাকবে। আমরা মানুষ হয়ে যখন জন্মগ্রহণ করেছি, পশু হয়ে বেঁচে থাকতে চাই না, মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আমরা মানুষ হতে চাইমরা মানুষ হতে চাই।

Admin

Amir hossain is a social article writer. he likes to share knowledge and Interested research content of biodiversity, climate, travel, photography

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form