ফেসবুকে অনেক বিজ্ঞ ভাইদেরকে দেখি অনেকেই সস্তা লাইক আর কমেন্ট পাবার জন্য কিছু একটা পোষ্ট করে "আমিন", "সুবহানাল্লাহ" লিখার জন্য আবেদন করে থাকে। কোথায় গরু পেটে, মাছের গায়ে আল্লাহ্র নাম পাওয়া গেছে, কোথায় কুরবানির মাংশে আল্লাহ্ লেখা উঠেছে, কোথায় গাছ আঁকাবাঁকা হয়ে আল্লাহ্ লেখার মতো আকৃতি ধরেছে সেসব নিয়ে পোষ্ট দেয় অনেকেই। পোষ্টের শেষে লেখা থাকে, আমিন না লিখে যাবেন না। কোথাও আবার আরো জটিল কথা লিখে রাখে, "মুসলমান হলে অবশ্যই আমিন লিখবেন"। মানে আপনার দিকে একধরণের মনস্তাত্ত্বিক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে লাইক দেন বা আমিন লিখেন।
আগুনে সব পুড়ে গেছে কিন্তু কুরআন পুড়েনি। এ নিয়েও অনেক পোষ্ট দেখেছি। আচ্ছা যেখানে আগুনে কুরআন সহ পুড়ে যায়, এর উত্তর কি হবে? আল্লাহ্ পাক চাইলে সব কিছুই করতে পারেন। কিন্তু তিনি সব কিছুই করেন না। তিনি যেমন জান্নাতে যুবকদের সরদার মাকামে আহলে বাইত, ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সহ ৭২ জন আওলাদে রাসূলকে কারবালার প্রান্তরে শাহাদত বরণ করতে দিয়েছেন, তিনি আগুনে কুরআন পুড়ে গেলেও কিছু নাও করতে পারেন। আর আল্লাহ্ পাক কখনো এমন ওয়াদা করেন নি যে, কাগজের কুরআনকে তিনি সংরক্ষণ করবেন। বরং যে কুরআন লউহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ রয়েছে তাকে তিনি কিয়ামত পর্যন্ত হেফাজত করবেন বলে ওয়াদা করেছেন।
নাস্তিক চক্র ফটোশপ দিয়ে এডিট করে কিছু ছবি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের নামের সাদৃশ্য করে নেটে ছেড়ে দেয়। আর আমরা অবুঝের দল তা পেয়েই আল্লাহ্র কুদরত বলে প্রচার করি আর আমিন বা সুবহানাল্লাহ আশা করি।
পোষ্টের ছবিটি মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন। মুসলমানদের অবস্থান এক সময় কোথায় ছিল আর এখন কোথায় এসে ঠেকেছে।
একবার ভাবুন আর যেখানেই ওইসব ছবিযুক্ত পোষ্ট দেখবেন, ঈমানী দায়িত্ব মনে করে এর প্রতিবাদ করুন।
Tags
জীবনধারা