বিশ্বাস ভেঙ্গে গেছে বহু আগেই, বিশ্বাসের দরজায় এখন অবিশ্বাসের খিল পড়ে আছে। অস্তিত্বে ধুলো জমে গেছে। আমি আমাকে চিনি না, আমি আমাকেও বিশ্বাস করি না। নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি স্বার্থপর মানুষদের কাছ থেকে। অনুভূতির কৌটা শূণ্যে এসে থেমেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় এটা জীবন নয়। হাসি নেই, কান্না নেই, কষ্টে আছি নাকি সুখে সেটাও বুঝে উঠতে পারি না, ক্লান্ত হয়ে হাঁপিয়ে উঠেছি। এবার এখানেই থামা যাক। এবার সব ভুলে নতুন ভাবে বাঁচা যাক। মাঝে মাঝে নতুন করে কারো জন্য একটু আধটু অনুভূতি জন্মানোর আভাস মিলতেই অতীত তার গলা চেপে ধরে।
কেউ জানে না, কারো জন্য প্রতি রাতে কারো না কারো ভেতর ঘরের ওলিতে গলিতে দুঃখ উৎযাপন চলে। কেউ জানে না, কারো দূর্বিষহ অতীত কাউকে ঘুমাতে দেয় না। মাঝ রাতে ঘুমহীন চোখ নিয়ে কলম হাতে কতো শব্দে ডাইরির পাতায় হামলা চলে। সেখানে জমা হয় অভিমান, অভিযোগ, না বলা হাজারও কথা, কারো সঙ্গ হীনতায় একাকিত্ব, আক্ষেপ আফসোস, আর বার বার বিশ্বাস ভেঙ্গে যাওয়ার গল্প। শুধু ঠিকানা জানা নেই বলেই, কতো লেখা, কতো শব্দ, ডাইরির পাতা ভর্তি করে করেই ঠিকানার অভাবে পড়ে থেকে থেকে শেষে ময়লা জমে গিয়ে ডাস্টবিনে জায়গা করে নেয়।