পাশ্চাত্যের রঙিন চশমা

রঙিন চশমা

অনেকদিন পর এক প্রবাসী বন্ধু তার দেশি বন্ধুর বাড়িতে বেড়াইতে গেলো। দেশি বন্ধুত মহা খুশি! গরু, খাসি, মুরগি জবাই করে বন্ধুরে খাওয়াইলো। যাওয়ার সময় দেশি বন্ধু প্রবাসী বন্ধুরে জিগাইলো- বন্ধু! কেমন দেখিলে আমার বাড়ি ঘর?

- আবার জিগায়! এককথায় অসিম! কিন্তু দোস্ত একটা জিনিস বুঝিলাম না।

- কোনটা দোস্ত?

- তোমার ছাগলের চোখে সবুজ চশমা কেন?

- আর কইওনা দোস্ত, এই বছর খরায় সব ঘাস মইরা ধূসর হইয়া গিয়াছে। ছাগলে খাইতে চাহে না। তাই ছাগলের চোখে সবুজ চশমা লাগিয়ে দিয়েছি। অহন আর চিন্তা নাই। ছাগল সবুজ ঘাস মনে করিয়া মরা ধূসর ঘাস খাইয়া ফেলে। আমি এখন টেনশন মুক্ত!

আমাদের বুদ্ধিজীবীগণ যাহারা আমাদের প্রতিনিয়ত নসিহত করিতে থাকেন, তাহারা বুঝিতে পারেন না যে- ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, তাহাদের চোখে পাশ্চাত্যের রঙিন চশমা লাগিয়া গিয়াছে। একারণে তাহারা যাহা কিছু দেখে, ভাবে, উপলব্ধি করে তাহা পাশ্চাত্যের রঙেরই হয়ে থাকে। উহা ধূসর হলেও, চশমার কারণে পাশ্চাত্যের সবই তাহাদের আদর্শ মনে হয়। যদি তাহারা চশমা খুলিতেন, তাহা হলে সত্য, বাস্তব দেখিতে পাইতেন। বাস্তবের সাথে তাহাদের জ্ঞান, মেধা যোগ হয়ে ভালো কিছু হতো, জাতি উপকৃত হতো। তাহারা জাতি গড়ার কারিগর হতো।

Admin

Amir hossain is a social article writer. he likes to share knowledge and Interested research content of biodiversity, climate, travel, photography

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form